ছায়ানটের দুই দিনব্যাপী শুদ্ধসংগীত উৎসবের পর্দা নামল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৪১
ধ্রুপদি সুরের মোহনায় ভাসিয়ে শুক্রবার পর্দা নেমেছে ছায়ানট আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শুদ্ধসংগীত উৎসবের।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে ভূপালী রাগে খেয়াল পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে এই উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবটি ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের শিক্ষাগুরু মদন গোপাল দাস এবং শিক্ষক সতীন্দ্রনাথ হালদারকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন, শুদ্ধ সংগীতের প্রতি আগ্রহ তরুণদের মাঝে কমে এসেছিল। ছায়ানট সেই ধারাকে বেগবান করতে সব সময় শুদ্ধসংগীতের প্রশিক্ষণ চর্চা অব্যাহত রেখেছে। প্রায় দেড় দশক বছর ধরে তারা সারাদেশের শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করছে এ উৎসব।
গোপাল দাস ও সতীন্দ্রনাথ হালদাকে স্মরণ করে সনজীদা খাতুন বলেন, ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনের সূচনালগ্ন থেকেই সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মদন গোপাল দাস। শুরুতে তবলার সহযোগী শিক্ষক ছিলেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণ শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ৫০ বছর ছায়ানটে শিক্ষকতা করেছেন। একইভাবে উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষক হিসেবে সতীন্দ্রনাথ হালদার ২৫ বছর সম্পৃক্ত ছিলেন ছায়ানটের সঙ্গে। তারা উভয়েই শিক্ষক হিসেবে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
উৎসবের প্রথম দিনের অধিবেশন চলে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শুক্রবার দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী দিনের পরিবেশনা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রথম অধিবেশন। শুরুতেই রাগ ভৈরবের বৃন্দ পরিবেশনায় অংশ নেয় শিল্পীরা। পরে কণ্ঠ-খেয়াল ‘গুণকেলি’পরিবেশন করেন মো. আলাউদ্দিন মিয়া। আফরোজা রুপা পরিবেশন করেন আহীর ভৈরব। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী পরিবেশন করেন ‘রামকেলি’। মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস পরিবেশন করেন ‘শুধ্ সারাং’।
দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় বিকেল ৪টায়, রাত সাড়ে ১০টায় পর্দা নামে উৎসবের। শুরুতেই বৃন্দ পরিবেশনা ‘ভীমপলশ্রী’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। পরে টিংকু শীল পরিবেশন করেন মারবা ‘পাখোয়াজ’, অনন্য রোজারিও ‘কুমার প্রতিবিম্ব’, মিনহাজুল হাসান ইমন ‘পুরিয়া কল্যাণ’। অনন্যা আচার্য ‘ভূপালী’, শ্রাবন্তী ধর রাগ ‘ছায়ানট’, অর্পিতা চক্রবর্তী ‘রাগেশ্রী’, সাইফুল ইসলাম ‘যোগ’, মোহ্সিইউ জৌভিয়াল ‘জিসাস ভুবন’, বিটু কুমার শীল ‘বাগেশ্রী’ এবং সবশেষে এবাদুল হক সৈকত ‘মালগুঞ্জী’ পরিবেশন করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৪১

ধ্রুপদি সুরের মোহনায় ভাসিয়ে শুক্রবার পর্দা নেমেছে ছায়ানট আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শুদ্ধসংগীত উৎসবের।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে ভূপালী রাগে খেয়াল পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে এই উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবটি ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের শিক্ষাগুরু মদন গোপাল দাস এবং শিক্ষক সতীন্দ্রনাথ হালদারকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন, শুদ্ধ সংগীতের প্রতি আগ্রহ তরুণদের মাঝে কমে এসেছিল। ছায়ানট সেই ধারাকে বেগবান করতে সব সময় শুদ্ধসংগীতের প্রশিক্ষণ চর্চা অব্যাহত রেখেছে। প্রায় দেড় দশক বছর ধরে তারা সারাদেশের শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করছে এ উৎসব।
গোপাল দাস ও সতীন্দ্রনাথ হালদাকে স্মরণ করে সনজীদা খাতুন বলেন, ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনের সূচনালগ্ন থেকেই সম্পৃক্ত হয়েছিলেন মদন গোপাল দাস। শুরুতে তবলার সহযোগী শিক্ষক ছিলেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পূর্ণ শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ৫০ বছর ছায়ানটে শিক্ষকতা করেছেন। একইভাবে উচ্চাঙ্গ সংগীতের শিক্ষক হিসেবে সতীন্দ্রনাথ হালদার ২৫ বছর সম্পৃক্ত ছিলেন ছায়ানটের সঙ্গে। তারা উভয়েই শিক্ষক হিসেবে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
উৎসবের প্রথম দিনের অধিবেশন চলে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শুক্রবার দুই অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী দিনের পরিবেশনা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রথম অধিবেশন। শুরুতেই রাগ ভৈরবের বৃন্দ পরিবেশনায় অংশ নেয় শিল্পীরা। পরে কণ্ঠ-খেয়াল ‘গুণকেলি’পরিবেশন করেন মো. আলাউদ্দিন মিয়া। আফরোজা রুপা পরিবেশন করেন আহীর ভৈরব। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী পরিবেশন করেন ‘রামকেলি’। মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাস পরিবেশন করেন ‘শুধ্ সারাং’।
দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় বিকেল ৪টায়, রাত সাড়ে ১০টায় পর্দা নামে উৎসবের। শুরুতেই বৃন্দ পরিবেশনা ‘ভীমপলশ্রী’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। পরে টিংকু শীল পরিবেশন করেন মারবা ‘পাখোয়াজ’, অনন্য রোজারিও ‘কুমার প্রতিবিম্ব’, মিনহাজুল হাসান ইমন ‘পুরিয়া কল্যাণ’। অনন্যা আচার্য ‘ভূপালী’, শ্রাবন্তী ধর রাগ ‘ছায়ানট’, অর্পিতা চক্রবর্তী ‘রাগেশ্রী’, সাইফুল ইসলাম ‘যোগ’, মোহ্সিইউ জৌভিয়াল ‘জিসাস ভুবন’, বিটু কুমার শীল ‘বাগেশ্রী’ এবং সবশেষে এবাদুল হক সৈকত ‘মালগুঞ্জী’ পরিবেশন করেন।