গুণের মতো হুমকি দিতে না পারায় স্বীকৃতি পাচ্ছেন না বাবা: রথীন্দ্রনাথ
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:২৫
কবি নির্মলেন্দু গুণের মতো অনশনের হুমকি দিতে না পারায় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-গীতিকার-কণ্ঠশিল্পী হরলাল রায় জাতীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন হরলাল রায়ের ছেলে শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সপরিবারের বসবাসরত রথীন্দ্রনাথ রায় একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কবি নির্মলেন্দু গুণের মতো অনশনের হুমকি দিতে পারছি না বলেই কি স্বাধীনতা যুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রাখা সত্ত্বেও আমার বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-গীতিকার-কণ্ঠশিল্পী হরলাল রায় জাতীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।’
নিজে ভাওয়াইয়া গানে ১৯৯৫ সালে একুশে পদক পেলেও তার বাবা হরলাল রায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ও সাহসী ভূমিকা পালন সত্ত্বেও বিস্মৃত হতে চলেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হরলাল রায় চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া সত্ত্বেও পেশা হিসেবে বেছে নেন সংগীত এবং অভিনয়কে।
অবিভক্ত ভারতের নীলফামারীর সুবর্ণখুলী গ্রামে ১৯৩২ সালে জন্ম হরলাল রায়ের। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদারদের হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর তৎপরতার খবর ছড়িয়ে পড়লে হরলাল রায় রচনা করেন গান- ‘কারবা বিচার কাঁইবা করে রে…’। গানটি তিনি নিজেই সুর দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে পরিবেশন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণাদানকারী ‘ফাঁন্দে পড়িয়া ইয়াহিয়া কান্দে রে', 'আজি কান্দেরে ওই পরাণ', 'জ্বলছে জ্বলছে দেশ আমার জ্বলছে', ‘পাঠান মিয়া ইয়াহিয়া খান জয় বাংলা করিলো শ্মশান-নরনারী হত্যা করে হাজার হাজার শিশু-সন্তান’, ‘জয় বাংলার শুনরে খবর এমন সোনার বাংলা ধ্বংস করলো নূরল আর টিক্কা মীরজাফর’ ইত্যাদি গান ছিল হরলাল রায়ের লেখা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:২৫

কবি নির্মলেন্দু গুণের মতো অনশনের হুমকি দিতে না পারায় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-গীতিকার-কণ্ঠশিল্পী হরলাল রায় জাতীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন হরলাল রায়ের ছেলে শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সপরিবারের বসবাসরত রথীন্দ্রনাথ রায় একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কবি নির্মলেন্দু গুণের মতো অনশনের হুমকি দিতে পারছি না বলেই কি স্বাধীনতা যুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রাখা সত্ত্বেও আমার বাবা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-গীতিকার-কণ্ঠশিল্পী হরলাল রায় জাতীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।’
নিজে ভাওয়াইয়া গানে ১৯৯৫ সালে একুশে পদক পেলেও তার বাবা হরলাল রায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ও সাহসী ভূমিকা পালন সত্ত্বেও বিস্মৃত হতে চলেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হরলাল রায় চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া সত্ত্বেও পেশা হিসেবে বেছে নেন সংগীত এবং অভিনয়কে।
অবিভক্ত ভারতের নীলফামারীর সুবর্ণখুলী গ্রামে ১৯৩২ সালে জন্ম হরলাল রায়ের। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদারদের হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর তৎপরতার খবর ছড়িয়ে পড়লে হরলাল রায় রচনা করেন গান- ‘কারবা বিচার কাঁইবা করে রে…’। গানটি তিনি নিজেই সুর দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে পরিবেশন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণাদানকারী ‘ফাঁন্দে পড়িয়া ইয়াহিয়া কান্দে রে', 'আজি কান্দেরে ওই পরাণ', 'জ্বলছে জ্বলছে দেশ আমার জ্বলছে', ‘পাঠান মিয়া ইয়াহিয়া খান জয় বাংলা করিলো শ্মশান-নরনারী হত্যা করে হাজার হাজার শিশু-সন্তান’, ‘জয় বাংলার শুনরে খবর এমন সোনার বাংলা ধ্বংস করলো নূরল আর টিক্কা মীরজাফর’ ইত্যাদি গান ছিল হরলাল রায়ের লেখা।