শেখ হাসিনা নয়, নদীর নামেই হবে পদ্মা সেতু: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:০১
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ায় নদীর নামেই (পদ্মা) এই সেতুর নামকরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত লিখনকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন সেজন্য সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা তার নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
তিনি জানান, এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।’
‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোনো সদস্যের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হোক তা চাননি। তাই তিনি নদীর নামেই এ সেতুর নাম পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’ যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কী আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারো কোনো দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা দেখবেন।
এসময় তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি তারা কখনো করবেন না, তারা উঠে যাবে। তারা কারো উস্কানিতে পা দেবে না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বিএনপি। আর এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:০১

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ায় নদীর নামেই (পদ্মা) এই সেতুর নামকরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত লিখনকে দেখতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন সেজন্য সংসদ সদস্য, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা তার নামে এই সেতুর নামকরণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
তিনি জানান, এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার প্রস্তাব করে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তিনি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।’
‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোনো সদস্যের নামে এ সেতুর নামকরণ করা হোক তা চাননি। তাই তিনি নদীর নামেই এ সেতুর নাম পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’ যোগ করেন সেতুমন্ত্রী। কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া কী আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারো কোনো দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা দেখবেন।
এসময় তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি তারা কখনো করবেন না, তারা উঠে যাবে। তারা কারো উস্কানিতে পা দেবে না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বিএনপি। আর এখন তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে কথা বলার অর্থ হলো ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।