সেন্টমার্টিনের মালিকানা দাবি মিয়ানমারের, দূত তলব করল ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪৪
প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করেছে মিয়ানমার। প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও-কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ সময় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনৈতিক পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়।
মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে দুপুর ১টায় মন্ত্রণালয়ে খুরশিদ আলমের কক্ষে ঢুকতে দেখা যায়। তিনি এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন।বেরিয়ে আসার সময় কিছু বলতে চাননি রাষ্ট্রদূত লুইন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড মিয়ানমারের মানচিত্রে এভাবে প্রদর্শনের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রদূতের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রশ্ন করেছি, তখন তিনি বলেছেন- ভুলক্রমে এটা হতে পারে।’
কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে মিয়ানমারের এই তৎপরতাকে খাটো করে দেখছে না বাংলাদেশ।রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পাশ কাটাতে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ বলে আমরা মনে করছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়ে।ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।
কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেন্টমার্টিন ভারতে পড়েছিল।১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপের মালিকানা দাবি করেছে মিয়ানমার। প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও-কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। এ সময় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি কূটনৈতিক পত্র ধরিয়ে দেয়া হয়।
মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে দুপুর ১টায় মন্ত্রণালয়ে খুরশিদ আলমের কক্ষে ঢুকতে দেখা যায়। তিনি এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন।বেরিয়ে আসার সময় কিছু বলতে চাননি রাষ্ট্রদূত লুইন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড মিয়ানমারের মানচিত্রে এভাবে প্রদর্শনের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রদূতের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রশ্ন করেছি, তখন তিনি বলেছেন- ভুলক্রমে এটা হতে পারে।’
কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে মিয়ানমারের এই তৎপরতাকে খাটো করে দেখছে না বাংলাদেশ।রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পাশ কাটাতে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ বলে আমরা মনে করছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়ে।ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।
কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেন্টমার্টিন ভারতে পড়েছিল।১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়।