সম্প্রচার আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:২২
মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে খসড়া সম্প্রচার আইন-২০১৮ অনুমোদন করেছে। একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনাই এই আইনের লক্ষ্য।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম একথা জানান। খবর: বাসস।
তিনি বলেন, সম্প্রচারের জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে এবং এজন্য একটি কমিশন থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিকৃত মানসিকতা ও দেউলিয়াত্বের কারণে আদালত কর্তৃক সম্প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা সত্ত্বেও কেউ সম্প্রচার অব্যাহত রাখলে সেই ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
শফিউল আলম বলেন, এছাড়া মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘দি মাস মিডিয়া এমপ্লোইজ (সার্ভিস কমিশন) ল-২০১৮’ অনুমোদন করেছে। এতে টেলিভিশন চ্যানেলসহ সকল গণমাধ্যমকর্মীর জন্য ওয়েজ বোর্ডের নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ৭ সদস্যের একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন এবং এই কমিশন গঠনে সদস্যদের নিয়োগ দিতে একটি সার্স কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সার্স কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি একজন চেয়ারম্যান এবং একজন নারী সদস্যসহ ছয় সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব কমিশনের কাজ সম্পর্কে বলেন, কমিশন সম্প্রচারের মান, দক্ষতা অক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে সম্প্রচার শিল্পে গতিশীলতা আনতে কোন ব্যক্তিবর্গ অথবা কোন সংস্থার নামে লাইসেন্স প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, কমিশন সম্প্রচার লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি সম্প্রচার যন্ত্রপাতিরও লাইসেন্স প্রদান করবে এবং এ ক্ষেত্রে কমিশনের একক কর্তৃত্ব থাকবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যে কোন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশনকে সরকারের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক অনুমতি নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কমিশনের অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর হলে এটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
কোনো ধংসাত্মক এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য, ছবি, ভিডিও অথবা অন্য যে কোন বিষয় সম্প্রচার অথবা উপস্থাপন এবং সরকারের জরুরি কোনো বার্তা সম্প্রচার না করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:২২

মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে খসড়া সম্প্রচার আইন-২০১৮ অনুমোদন করেছে। একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনাই এই আইনের লক্ষ্য।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম একথা জানান। খবর: বাসস।
তিনি বলেন, সম্প্রচারের জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে এবং এজন্য একটি কমিশন থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিকৃত মানসিকতা ও দেউলিয়াত্বের কারণে আদালত কর্তৃক সম্প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা সত্ত্বেও কেউ সম্প্রচার অব্যাহত রাখলে সেই ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
শফিউল আলম বলেন, এছাড়া মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘দি মাস মিডিয়া এমপ্লোইজ (সার্ভিস কমিশন) ল-২০১৮’ অনুমোদন করেছে। এতে টেলিভিশন চ্যানেলসহ সকল গণমাধ্যমকর্মীর জন্য ওয়েজ বোর্ডের নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ৭ সদস্যের একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন এবং এই কমিশন গঠনে সদস্যদের নিয়োগ দিতে একটি সার্স কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সার্স কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি একজন চেয়ারম্যান এবং একজন নারী সদস্যসহ ছয় সদস্যের সমন্বয়ে কমিশন গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব কমিশনের কাজ সম্পর্কে বলেন, কমিশন সম্প্রচারের মান, দক্ষতা অক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে সম্প্রচার শিল্পে গতিশীলতা আনতে কোন ব্যক্তিবর্গ অথবা কোন সংস্থার নামে লাইসেন্স প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, কমিশন সম্প্রচার লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি সম্প্রচার যন্ত্রপাতিরও লাইসেন্স প্রদান করবে এবং এ ক্ষেত্রে কমিশনের একক কর্তৃত্ব থাকবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে যে কোন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশনকে সরকারের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক অনুমতি নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কমিশনের অনুমতি ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর হলে এটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
কোনো ধংসাত্মক এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য, ছবি, ভিডিও অথবা অন্য যে কোন বিষয় সম্প্রচার অথবা উপস্থাপন এবং সরকারের জরুরি কোনো বার্তা সম্প্রচার না করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।