নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ২০:১৪
পায়রায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে ভূমি হারানো লোকদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত হাউজিং প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ২১টি প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রণীত মাস্টার প্লানের অধীনে তার সরকার সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে ভূমি হারানো লোকদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত হাউজিং প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ২১টি প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে শনিবার পটুয়াখালীর পায়রায় সমাবেশে একথা বলেন তিনি। খবর: বাসস।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একই কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আরও ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ করবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে একটি নৌবাহিনী ঘাঁটি এবং একটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি নির্মাণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি সেনানিবাস নির্মাণ করছে করার। ইতোমধ্যেই পটুয়াখালির তালতলি এলাকায় একটি শিপবিল্ডিং এবং একটি শিপ রিসাইকেলিং শিল্প স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পে ১৩০টি পরিবার তাদের ঘর পেয়েছে। তারা একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, ১৩২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এটি বাস্তবায়িত হলে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করতে পারমাণবিক শক্তি কমিশন সমীক্ষা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এই এলাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে স্থানীয় জনগণের আশ্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, চীপ হুইপ এএসএম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত দশ বছরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্জিত ব্যাপক সমূদ্র এলাকায় ব্লু ইকোনমি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে সকল নদী ড্রেজিং করা হবে।
দেশের চলমান উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ির চাবি হস্তান্তর এবং হাউজিং এলাকায় পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত ও একটি নারিকেলের চাড়া রোপন করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ২০:১৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রণীত মাস্টার প্লানের অধীনে তার সরকার সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে ভূমি হারানো লোকদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত হাউজিং প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ২১টি প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে শনিবার পটুয়াখালীর পায়রায় সমাবেশে একথা বলেন তিনি। খবর: বাসস।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একই কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আরও ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ করবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষিণাঞ্চলে একটি নৌবাহিনী ঘাঁটি এবং একটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি নির্মাণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি সেনানিবাস নির্মাণ করছে করার। ইতোমধ্যেই পটুয়াখালির তালতলি এলাকায় একটি শিপবিল্ডিং এবং একটি শিপ রিসাইকেলিং শিল্প স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের ঠিকানা প্রকল্পে ১৩০টি পরিবার তাদের ঘর পেয়েছে। তারা একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, ১৩২০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এটি বাস্তবায়িত হলে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানও হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করতে পারমাণবিক শক্তি কমিশন সমীক্ষা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এই এলাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে স্থানীয় জনগণের আশ্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমানও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, চীপ হুইপ এএসএম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত দশ বছরে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্জিত ব্যাপক সমূদ্র এলাকায় ব্লু ইকোনমি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছে। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে সকল নদী ড্রেজিং করা হবে।
দেশের চলমান উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হবে।
প্রধানমন্ত্রী পরে পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ির চাবি হস্তান্তর এবং হাউজিং এলাকায় পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত ও একটি নারিকেলের চাড়া রোপন করেন।