শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে
জনস্রোত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৩৬
শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের জনতা। ছবি: রুবেল রশিদ
শোক, বিনয় ও শ্রদ্ধায় পুরো জাতি ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। শুক্রবার ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে জনগণ রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যায়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শুক্রবার সকালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা সকালে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এরপর বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা জানান সেখানে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, মৌন মিছিল ইত্যাদি। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দু’টি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৩৬

শোক, বিনয় ও শ্রদ্ধায় পুরো জাতি ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। শুক্রবার ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে জনগণ রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যায়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শুক্রবার সকালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা সকালে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এরপর বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা জানান সেখানে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, মৌন মিছিল ইত্যাদি। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দু’টি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।