বিজয় দিবসে লাখো মানুষের ঢল
সাভার প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৫
মহান বিজয়ের ৪৭ তম দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে রোববার লাখো জনতার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
মহান বিজয়ের ৪৭তম দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ রোববার লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
দিনের শুরুতে সকাল ছয়টায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে ৬টা ৩৪ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
এরপর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আবারও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণ করে প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার।
পরে সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকার দলীয় শীর্ষ নেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর পর সকাল ৭টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামে। একে একে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় লাখো জনতা। তাদের অনেকের হাতেই ছিল জাতির গৌরবময় অর্জন জাতীয় পতাকা। অনেকে মুখে, হাতে পতাকা এঁকেছেন। পতাকার আদলে অনেকে ব্যান্ড পরেছেন। সবার চোখে-মুখে ছিল বিজয়ের উচ্ছ্বাস আর দেশ গড়ার প্রত্যয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সময় ছিলেন স্লোগান মুখর।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শুক্রবার গভীর রাত থেকেই স্মৃতিসৌধ এবং আশপাশের এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে সকাল ৯ টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। আজ আবারও সেই চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।
এ সময় দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দীন বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।
এ সময় নুরুল হুদা আরও বলেন, ১৪ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও কোথাও একটু সমস্যা হচ্ছে। এত বড় একটা নির্বাচনে এগুলোকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হয়তো সংঘাত হচ্ছে বা হবে। তবে সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি সবাই নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সাভার প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:২৫

মহান বিজয়ের ৪৭তম দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ রোববার লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
দিনের শুরুতে সকাল ছয়টায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে ৬টা ৩৪ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
এরপর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আবারও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া শহীদদের স্মরণ করে প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার।
পরে সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকার দলীয় শীর্ষ নেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর পর সকাল ৭টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামে। একে একে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় লাখো জনতা। তাদের অনেকের হাতেই ছিল জাতির গৌরবময় অর্জন জাতীয় পতাকা। অনেকে মুখে, হাতে পতাকা এঁকেছেন। পতাকার আদলে অনেকে ব্যান্ড পরেছেন। সবার চোখে-মুখে ছিল বিজয়ের উচ্ছ্বাস আর দেশ গড়ার প্রত্যয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সময় ছিলেন স্লোগান মুখর।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শুক্রবার গভীর রাত থেকেই স্মৃতিসৌধ এবং আশপাশের এলাকাসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে সকাল ৯ টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। আজ আবারও সেই চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।
এ সময় দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দীন বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।
এ সময় নুরুল হুদা আরও বলেন, ১৪ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও কোথাও একটু সমস্যা হচ্ছে। এত বড় একটা নির্বাচনে এগুলোকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হয়তো সংঘাত হচ্ছে বা হবে। তবে সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি সবাই নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে।