১৬ ডিসেম্বর ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্যের দিন’
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৩
নরেন্দ্র মোদীর টুইট।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্যের দিন’ হিসেবে অভিহিত করছেন ভারতের বহু রাজনীতিবিদ ও তারকা। আর শহীদদের বলা হচ্ছে ‘ভারতের জন্য মহান আত্মত্যাগ।’ এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনী, কেবিনেট মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদসহ আছেন ক্রিকেটার বিরেন্দর শেবাগ।
রবিবার সামাজিক মাধ্যম টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন অনেকে। তাদের কারও পোস্টে নেই বাংলাদেশের নাম। নেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা। এমনকি বিজয় দিবসের সাথে বাংলাদেশের নাম যে জড়িত তাও বোঝা যায় না এসব টুইট পড়লে। তাদের বেশির ভাগের টুইটে-ই ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনটিকে ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্য’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্রের টুইটে আছে বাংলাদেশের নাম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকালে টুইটে লেখেন, ‘১৯৭১ সালে যে নির্ভীক সেনারা লড়াই করেছিলেন, আজ বিজয় দিবসে তাদের অদম্য সাহসকে স্মরণ করি। তাদের বীরত্ব আর দেশপ্রেমই আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। এই মহান অত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয়কে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।’
বিবিসি বলছে, মোদী বাংলাদেশের প্রশংসা করার সুযোগ সাধারণত হাতছাড়া করেন না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের টুইটে কার বিজয় দিবস সেটাই উল্লেখ করলেন না।
তার টুইটে কমেন্ট করেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। তিনিও যথারীতি এড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। বরং তিনি পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “ভারতের পরাক্রমের নজির হল এই ছবিটি - ১৯৭১র বীর যোদ্ধাদের শত শত প্রণাম!”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে যে পোস্ট করা হয়েছে তাতে আবার বিজয় দিবসের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই দেওয়া হয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে।
নির্মলা লিখেছেন, “ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি, সাহস আর সঙ্কল্পই মাত্র চোদ্দ দিনের মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্ত্র সংবরণে বাধ্য করেছিল। যা আধুনিক ইতিহাসে বৃহত্তম সামরিক আত্মসমর্পণগুলির মধ্যে একটি।”
ভারতীয় বিমান বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টেও বিজয় দিবসকে পুরোপুরি ‘ভারতের বিজয়’ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। তারা লিখেছে, “১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক বিজয়কে উদযাপন করতেই বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে।”
তবে ভারতে বিরোধী দল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার টুইটে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের নাম। বিজয় দিবসকে “১৯৭১-র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক” বলেই বর্ণনা করেছেন তার টুইটে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিরেন্দ শেবাগ দিনটিকে ভারতের জন্য ঐতিহাসিক উল্লেখ করে লেখেন, “৪৭ বছর আগে, ১৯৭১ সালে আজকের দিনটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৩

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্যের দিন’ হিসেবে অভিহিত করছেন ভারতের বহু রাজনীতিবিদ ও তারকা। আর শহীদদের বলা হচ্ছে ‘ভারতের জন্য মহান আত্মত্যাগ।’ এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনী, কেবিনেট মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদসহ আছেন ক্রিকেটার বিরেন্দর শেবাগ।
রবিবার সামাজিক মাধ্যম টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন অনেকে। তাদের কারও পোস্টে নেই বাংলাদেশের নাম। নেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা। এমনকি বিজয় দিবসের সাথে বাংলাদেশের নাম যে জড়িত তাও বোঝা যায় না এসব টুইট পড়লে। তাদের বেশির ভাগের টুইটে-ই ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনটিকে ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্য’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের মুখপাত্রের টুইটে আছে বাংলাদেশের নাম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকালে টুইটে লেখেন, ‘১৯৭১ সালে যে নির্ভীক সেনারা লড়াই করেছিলেন, আজ বিজয় দিবসে তাদের অদম্য সাহসকে স্মরণ করি। তাদের বীরত্ব আর দেশপ্রেমই আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। এই মহান অত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয়কে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।’
বিবিসি বলছে, মোদী বাংলাদেশের প্রশংসা করার সুযোগ সাধারণত হাতছাড়া করেন না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের টুইটে কার বিজয় দিবস সেটাই উল্লেখ করলেন না।
তার টুইটে কমেন্ট করেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। তিনিও যথারীতি এড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। বরং তিনি পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “ভারতের পরাক্রমের নজির হল এই ছবিটি - ১৯৭১র বীর যোদ্ধাদের শত শত প্রণাম!”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে যে পোস্ট করা হয়েছে তাতে আবার বিজয় দিবসের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই দেওয়া হয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে।
নির্মলা লিখেছেন, “ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি, সাহস আর সঙ্কল্পই মাত্র চোদ্দ দিনের মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে অস্ত্র সংবরণে বাধ্য করেছিল। যা আধুনিক ইতিহাসে বৃহত্তম সামরিক আত্মসমর্পণগুলির মধ্যে একটি।”
ভারতীয় বিমান বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টেও বিজয় দিবসকে পুরোপুরি ‘ভারতের বিজয়’ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে। তারা লিখেছে, “১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক বিজয়কে উদযাপন করতেই বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে।”
তবে ভারতে বিরোধী দল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার টুইটে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের নাম। বিজয় দিবসকে “১৯৭১-র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক” বলেই বর্ণনা করেছেন তার টুইটে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বিরেন্দ শেবাগ দিনটিকে ভারতের জন্য ঐতিহাসিক উল্লেখ করে লেখেন, “৪৭ বছর আগে, ১৯৭১ সালে আজকের দিনটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল।”