মোংলা বন্দর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২১
মঙ্গলবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এসময় পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে মঙ্গলবার দিনভর মোংলাসহ আশপাশ উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঝড়-বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স মায়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আহসান হাবিব হাসানসহ অন্য ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় পিথাই’র প্রভাবেও গত দুই তিন দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে এ এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় পিথাই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এলাকায় দুর্বল হয়ে প্রথমে নিন্মচাপ এবং পরবর্তীতে লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবেই এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মঙ্গলবার ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টিপাতে দুবলার চরের শুটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাছ শুকাতে না পারায় ইতিমধ্যে প্রচুর মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন জেলে-মহাজনেরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২১

মঙ্গলবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এসময় পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে মঙ্গলবার দিনভর মোংলাসহ আশপাশ উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঝড়-বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স মায়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আহসান হাবিব হাসানসহ অন্য ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় পিথাই’র প্রভাবেও গত দুই তিন দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে এ এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় পিথাই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ এলাকায় দুর্বল হয়ে প্রথমে নিন্মচাপ এবং পরবর্তীতে লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবেই এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মঙ্গলবার ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টিপাতে দুবলার চরের শুটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাছ শুকাতে না পারায় ইতিমধ্যে প্রচুর মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন জেলে-মহাজনেরা।