হতাশ যুক্তরাষ্ট্র
ভিসা মেলেনি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছে না এনফ্রেল
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৫
ভিসা না পেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য হয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এনফ্রেল)। সময়মতো ভিসা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র রবার্ট প্যালাডিনো ২১ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের এনফ্রেল-এর অধিকাংশ সদস্যকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে বাংলাদেশ সরকার অসমর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ।
এতে বলা হয়, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট-এনডিআই’র মাধ্যমে এনফ্রেলকে অর্থায়ন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা না পেয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকারের জন্য এটা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) অধীন সব বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) অনুমোদন দেওয়া যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারে। এসব এনজিও’র মধ্যে ইউএসএইড’র অর্থায়ন দেওয়া সংস্থাও রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যে কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ এবং সভা-সমাবেশের, স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচনের প্রত্যেকটি সংবাদ পরিবেশনের, অংশগ্রহণকারীদের তথ্য পাওয়ার এবং হয়রানি, ভয়ভীতি ও সহিংসতা ছাড়াই সবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পরিবেশ অবশ্যই থাকতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সব বাংলাদেশি যাতে স্বাধীনভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে এবং অংশ নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পালনে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করছি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৫
ভিসা না পেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিলে বাধ্য হয়েছে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এনফ্রেল)। সময়মতো ভিসা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র রবার্ট প্যালাডিনো ২১ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের এনফ্রেল-এর অধিকাংশ সদস্যকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে বাংলাদেশ সরকার অসমর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ।
এতে বলা হয়, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট-এনডিআই’র মাধ্যমে এনফ্রেলকে অর্থায়ন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা না পেয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ মিশনের অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকারের জন্য এটা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) অধীন সব বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) অনুমোদন দেওয়া যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারে। এসব এনজিও’র মধ্যে ইউএসএইড’র অর্থায়ন দেওয়া সংস্থাও রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যে কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ এবং সভা-সমাবেশের, স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচনের প্রত্যেকটি সংবাদ পরিবেশনের, অংশগ্রহণকারীদের তথ্য পাওয়ার এবং হয়রানি, ভয়ভীতি ও সহিংসতা ছাড়াই সবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পরিবেশ অবশ্যই থাকতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সব বাংলাদেশি যাতে স্বাধীনভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে এবং অংশ নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পালনে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করছি।