শপথ নিয়েই কাজে নেমে পড়লেন নতুন অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:০৯
অর্থমন্ত্রী হিসেবে সোমবার বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পরই আ হ ম মুস্তফা কামাল সোজা চলে আসেন সচিবালয়ে, নতুন দপ্তরে। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলেন মন্ত্রী।
এ সময়ে অর্থবিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় নতুন অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর অর্থনীতিতে আমরা অসাধারণ ভালো করব। দেশের এই অবস্থান আপনাদের হাত ধরেই এসেছে। প্রবৃদ্ধির সব নির্দেশক ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে আমরা যেভাবে কাজ করছি, তাতে গাণিতিক হারে অগ্রগতি হবে। কিন্তু আমাদের জ্যামিতিক হারে এগোতে হবে। কাজটি কঠিন না।
সভায় উপস্থিত এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা, আমাদের দেশে সবচেয়ে খারাপ দিক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে। যারা মধ্যম আয়ের মানুষ, তাদের উন্নয়ন, জীবনমান, আয় সবকিছু বাড়ছে। তাদের সবাই বছরে ১০ হাজার, ১৫ হাজার বা ২০ হাজার টাকা করে আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা দেয় না। আসলে আমরা নেই না। রিটার্ন দাখিল করে ১৭ লাখ মানুষ। সত্যিকারভাবে আমরা করযোগ্যদের করজালে আনতে পারিনি। তাদের করজালে আনার জন্য যা দরকার, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া বন্দরে স্ক্যানার বসিয়ে শুধু আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য স্ক্যান করে তাদের রাজস্ব আয় পাঁচ মাসে ৩২ শতাংশ বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা অপচয় বন্ধ করতে পারি, তাহলে আমাদের জায়গা অনেক প্রশস্ত হবে, অনেক গভীর হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রজ্ঞাবান মানুষ, কাজ করতে ভালোবাসেন। আপনারা কাজ করেছেন বলেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আলোচিত একটি নাম। আমি মনে করি, সামষ্টিক ও ব্যাস্টিক পর্যায়ে আপনাদের মনোযোগ দেওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি আমাকে গর্বিত করেছে। আমাদের দেশকেও গর্বিত করেছে।
কর্মকর্তাদের সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা এমন একটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন, যেটা বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের হাত দিয়েই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। আমাদের সময় কম, সম্পদও অসীম নয়। অল্প সময়ে এই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। খোলামেলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। অতীতে যা ঘটেছে, যা ঘটবে-সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই পরিকল্পনা সাজাব।
এ সময় অর্থবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:০৯

অর্থমন্ত্রী হিসেবে সোমবার বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পরই আ হ ম মুস্তফা কামাল সোজা চলে আসেন সচিবালয়ে, নতুন দপ্তরে। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলেন মন্ত্রী।
এ সময়ে অর্থবিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় নতুন অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর অর্থনীতিতে আমরা অসাধারণ ভালো করব। দেশের এই অবস্থান আপনাদের হাত ধরেই এসেছে। প্রবৃদ্ধির সব নির্দেশক ভালো অবস্থায় রয়েছে। তবে আমরা যেভাবে কাজ করছি, তাতে গাণিতিক হারে অগ্রগতি হবে। কিন্তু আমাদের জ্যামিতিক হারে এগোতে হবে। কাজটি কঠিন না।
সভায় উপস্থিত এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ধারণা, আমাদের দেশে সবচেয়ে খারাপ দিক রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে। যারা মধ্যম আয়ের মানুষ, তাদের উন্নয়ন, জীবনমান, আয় সবকিছু বাড়ছে। তাদের সবাই বছরে ১০ হাজার, ১৫ হাজার বা ২০ হাজার টাকা করে আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা দেয় না। আসলে আমরা নেই না। রিটার্ন দাখিল করে ১৭ লাখ মানুষ। সত্যিকারভাবে আমরা করযোগ্যদের করজালে আনতে পারিনি। তাদের করজালে আনার জন্য যা দরকার, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া বন্দরে স্ক্যানার বসিয়ে শুধু আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য স্ক্যান করে তাদের রাজস্ব আয় পাঁচ মাসে ৩২ শতাংশ বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যদি আমরা অপচয় বন্ধ করতে পারি, তাহলে আমাদের জায়গা অনেক প্রশস্ত হবে, অনেক গভীর হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রজ্ঞাবান মানুষ, কাজ করতে ভালোবাসেন। আপনারা কাজ করেছেন বলেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আলোচিত একটি নাম। আমি মনে করি, সামষ্টিক ও ব্যাস্টিক পর্যায়ে আপনাদের মনোযোগ দেওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি আমাকে গর্বিত করেছে। আমাদের দেশকেও গর্বিত করেছে।
কর্মকর্তাদের সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা এমন একটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন, যেটা বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের হাত দিয়েই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। আমাদের সময় কম, সম্পদও অসীম নয়। অল্প সময়ে এই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। খোলামেলা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। অতীতে যা ঘটেছে, যা ঘটবে-সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই পরিকল্পনা সাজাব।
এ সময় অর্থবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।