ভাষা সৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:৪৮
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ভাষা সৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান (৮৭) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় শেরপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে শহরের মধ্যশেরি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাষা সংগ্রামী ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ সৈয়দ আব্দুল হান্নান শেরপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
আব্দুল হান্নান ১৯৩২ সালে ২৫ ডিসেম্বর শেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ আব্দুল হালিম, মা রাবেয়া খাতুন। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষার দাবিতে মিছিল চলাকালে তিনি ও পরে তার বড় ভাই ছাত্রনেতা সৈয়দ আব্দুস সাত্তার গ্রেপ্তার হন।
১৯৫২ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে তিনি আইএসসি পাস করে ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৬ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমএ মাস্টার্স এবং ১৯৬৪ সালে এলএলবি পাস করেন।
তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেরপুরের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহায়তা করার অপরাধে তাকে ৩ বার গ্রেপ্তার করে প্রায় ৪ মাস জেলে রাখা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:৪৮

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ভাষা সৈনিক সৈয়দ আব্দুল হান্নান (৮৭) মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় শেরপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে শহরের মধ্যশেরি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাষা সংগ্রামী ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ সৈয়দ আব্দুল হান্নান শেরপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
আব্দুল হান্নান ১৯৩২ সালে ২৫ ডিসেম্বর শেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ আব্দুল হালিম, মা রাবেয়া খাতুন। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষার দাবিতে মিছিল চলাকালে তিনি ও পরে তার বড় ভাই ছাত্রনেতা সৈয়দ আব্দুস সাত্তার গ্রেপ্তার হন।
১৯৫২ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে তিনি আইএসসি পাস করে ওই বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৬ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমএ মাস্টার্স এবং ১৯৬৪ সালে এলএলবি পাস করেন।
তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেরপুরের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহায়তা করার অপরাধে তাকে ৩ বার গ্রেপ্তার করে প্রায় ৪ মাস জেলে রাখা হয়।