মিয়ানমারের বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:০৬
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ এবং রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশটির মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সরকারকে দেওয়া প্রতিবাদপত্রে ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আরাকান আর্মি কিংবা আরসার কোনো ঘাঁটি নেই। মিয়ানমারের মন্ত্রী আরাকান আর্মি এবং আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছে তা মিথ্যা এবং মনগড়া।
গত ৭ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশে দুটি আরাকান আর্মি এবং তিনটি আরসা ঘাঁটি রয়েছে বলে মন্তব্য করে।
বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশের কোনো বিদ্রোহী সংগঠনকে দেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় না উল্লেখ করে প্রতিবাদ পত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ সতর্কতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসারে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের কোথাও অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্ভব নয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে মিয়ানমারের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একই ধরনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব মিয়ানমারকেও দেওয়া হয়েছিল। সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে যৌথ অভিযানের প্রস্তাবও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের বর্তমান সংঘাত দেশটির রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকট থেকে তৈরি উল্লেখ করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাংলাদেশকে না জড়াতে প্রতিবাদ পত্রে মিয়ানমারকে সতর্কও করেছে ঢাকা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:০৬

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ এবং রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশটির মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সরকারকে দেওয়া প্রতিবাদপত্রে ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে আরাকান আর্মি কিংবা আরসার কোনো ঘাঁটি নেই। মিয়ানমারের মন্ত্রী আরাকান আর্মি এবং আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছে তা মিথ্যা এবং মনগড়া।
গত ৭ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশে দুটি আরাকান আর্মি এবং তিনটি আরসা ঘাঁটি রয়েছে বলে মন্তব্য করে।
বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশের কোনো বিদ্রোহী সংগঠনকে দেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় না উল্লেখ করে প্রতিবাদ পত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ সতর্কতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসারে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের কোথাও অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্ভব নয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে মিয়ানমারের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একই ধরনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব মিয়ানমারকেও দেওয়া হয়েছিল। সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে যৌথ অভিযানের প্রস্তাবও করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের বর্তমান সংঘাত দেশটির রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকট থেকে তৈরি উল্লেখ করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাংলাদেশকে না জড়াতে প্রতিবাদ পত্রে মিয়ানমারকে সতর্কও করেছে ঢাকা।