ব্যাংক কমিশনের দরকার নেই: অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:২৬
আর্থিকখাতের সংস্কারে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দরকার নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঋণ খেলাপিরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সে জন্য দ্রুত ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করতে হবে।
বুধবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কমিশন গঠনের দরকার নেই। কারণ, ব্যাংকিংখাতের দুর্বলতা ইতিমধ্যে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরা ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করব। কেন খেলাপি ঋণ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু আইনে বিচ্যুতি আছে । আমরা সেই আইনগুলো সংশোধন করবে। আমাদের মন্দঋণ কমাতে আইন পরিবর্তন করতে হবে।তিনি বলেন, ঋণ খেলাপিরা খুব সহজে আইনের দুর্বলতার সুযোগে হাইকোর্টে চলে যেতে পারে। এতে ঋণ খেলাপি ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয় । এটা দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটা ভালো বিষয় না।
মন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পর্যাপ্ত জনবল নেই। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলো থেকে জনবল নিয়ে এসে এ প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়। তাই এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নেই ।
তিনি বলেন, নিজের জনবল নিয়োগ করতে পারলে দেশের জনগণের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জনবলকে জবাবদিহিতায় আনতে পারব।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:২৬

আর্থিকখাতের সংস্কারে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দরকার নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঋণ খেলাপিরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে সে জন্য দ্রুত ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করতে হবে।
বুধবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কমিশন গঠনের দরকার নেই। কারণ, ব্যাংকিংখাতের দুর্বলতা ইতিমধ্যে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরা ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করব। কেন খেলাপি ঋণ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে হবে । অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু আইনে বিচ্যুতি আছে । আমরা সেই আইনগুলো সংশোধন করবে। আমাদের মন্দঋণ কমাতে আইন পরিবর্তন করতে হবে।তিনি বলেন, ঋণ খেলাপিরা খুব সহজে আইনের দুর্বলতার সুযোগে হাইকোর্টে চলে যেতে পারে। এতে ঋণ খেলাপি ঋণ আদায়ে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয় । এটা দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটা ভালো বিষয় না। মন্ত্রী বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পর্যাপ্ত জনবল নেই। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলো থেকে জনবল নিয়ে এসে এ প্রতিষ্ঠান চালাতে হয়। তাই এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নেই ।
তিনি বলেন, নিজের জনবল নিয়োগ করতে পারলে দেশের জনগণের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জনবলকে জবাবদিহিতায় আনতে পারব।