মন্ত্রীদের পছন্দের এপিএসেও শর্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ২২:৪৯
একান্ত সচিব নিয়োগে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর এবার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগেও শর্তারোপ রাখছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগের মতো নিজের পছন্দে এপিএস নেওয়ার সুযোগ থাকলেও যাকে ইচ্ছা তাকে এ পদে বসাতে পারবেন না তারা।
এপিএস পদে পছন্দের প্রার্থী বাছাই করার এখতিয়ার মন্ত্রীদের দেওয়া হলেও শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের থাকতে হবে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, এ শর্তের কারণে কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানধারীদের এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের এ পদে নিয়োগ দিতে পারবেন না মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে উপসচিব পদমর্যাদার ৪৫ জন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পিএস নিয়োগে অনিয়ম বন্ধ করার জন্যই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রীর পিএস একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত আইনে মন্ত্রীদের পছন্দে পিএস নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার থাকলেও এবার সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এপিএস নিয়োগ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠিক করে দিলেও এপিএস নিয়োগে আগের রেওয়াজই বহাল থাকবে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দে যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শুধু খেয়াল রাখতে হয়, এপিএস যিনি হচ্ছেন, তার যেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ২২:৪৯

একান্ত সচিব নিয়োগে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর এবার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগেও শর্তারোপ রাখছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগের মতো নিজের পছন্দে এপিএস নেওয়ার সুযোগ থাকলেও যাকে ইচ্ছা তাকে এ পদে বসাতে পারবেন না তারা।
এপিএস পদে পছন্দের প্রার্থী বাছাই করার এখতিয়ার মন্ত্রীদের দেওয়া হলেও শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের থাকতে হবে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, এ শর্তের কারণে কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানধারীদের এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের এ পদে নিয়োগ দিতে পারবেন না মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) পদে উপসচিব পদমর্যাদার ৪৫ জন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পিএস নিয়োগে অনিয়ম বন্ধ করার জন্যই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রীর পিএস একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত আইনে মন্ত্রীদের পছন্দে পিএস নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার থাকলেও এবার সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এপিএস নিয়োগ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পিএস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠিক করে দিলেও এপিএস নিয়োগে আগের রেওয়াজই বহাল থাকবে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দে যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শুধু খেয়াল রাখতে হয়, এপিএস যিনি হচ্ছেন, তার যেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকে।