কাজে না ফিরলে কারখানা বন্ধ, মিলবে না মজুরি: বিজিএমইএ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৪০
ফাইল ছবি
মজুরি বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সোমবারের মধ্যে কাজে না ফিরলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যেসব শ্রমিক কাজে ফিরবে না, তাদের বেতনও দেওয়া হবে না।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ’র কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কর্মস্থলে ফিরে যান। উৎপাদন কাজে অংশগ্রহণ করুন।’
সোমবার থেকে শ্রমিকরা কাজ শুরু না করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ এর ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বিজিএমইএ সভাপতির অভিযোগ, শ্রমিকদের মজুরি বোর্ডে বৈষম্য আছে বলে তাদের আন্দোলনে নামিয়েছে একটি ‘কুচক্রী মহল’। পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি মহল চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একাধিকবার শ্রমিকদের অনুরোধ করেছি কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কাজে ফেরেনি। নতুন বেতন কাঠামোয় বৈষম্য আছে এই উস্কানি দিয়ে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অশান্ত করা হচ্ছে। এ খাতকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
এসময় সরকারের কাছে পোশাক মালিকদের জানমালের নিরাপত্তা চান সিদ্দিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মজুরি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তা দ্রুত সংশোধনের দাবিতে রোববার সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। টানা বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হন কয়েকশ’ শ্রমিক। আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের অভিযোগও উঠেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৪০

মজুরি বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সোমবারের মধ্যে কাজে না ফিরলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যেসব শ্রমিক কাজে ফিরবে না, তাদের বেতনও দেওয়া হবে না।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ’র কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কর্মস্থলে ফিরে যান। উৎপাদন কাজে অংশগ্রহণ করুন।’
সোমবার থেকে শ্রমিকরা কাজ শুরু না করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ এর ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বিজিএমইএ সভাপতির অভিযোগ, শ্রমিকদের মজুরি বোর্ডে বৈষম্য আছে বলে তাদের আন্দোলনে নামিয়েছে একটি ‘কুচক্রী মহল’। পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি মহল চক্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একাধিকবার শ্রমিকদের অনুরোধ করেছি কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কাজে ফেরেনি। নতুন বেতন কাঠামোয় বৈষম্য আছে এই উস্কানি দিয়ে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অশান্ত করা হচ্ছে। এ খাতকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
এসময় সরকারের কাছে পোশাক মালিকদের জানমালের নিরাপত্তা চান সিদ্দিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তরের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মজুরি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তা দ্রুত সংশোধনের দাবিতে রোববার সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। টানা বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হন কয়েকশ’ শ্রমিক। আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের অভিযোগও উঠেছে।