টিআইবির প্রতিবেদন আর বিএনপির বক্তব্যে পার্থক্য নেই: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:০৩
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজার নিজ বাসভবনে মিট দা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: দেশ রূপান্তর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এটি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টিআইবি নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য-গবেষণার কথা বলে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটি ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজার নিজ বাসভবনে মিট দা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার টিআইবি সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ড. হাছান মাহমুদ টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু এই প্রতিবেদন নয়, এর আগে টিআইবি পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মনগড়া, একপেশে প্রতিবেদন দিয়েছিল। যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচন দেশ-বিদেশে সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র নির্বাচনের পর বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন জোট এবং আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যারা আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছিলেন তারা এ নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অতীতেও দেখতে পেয়েছি, তারা যে গবেষণার কথা বলে, সে গবেষণাগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সঠিক গবেষণা নয়। এর আগে টিআইবি পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সে প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করে হেরে যায়। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনী সাজানোর জন্য তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘৮০০ প্রার্থীকে ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল, যা নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে কোন বক্তব্য নাই। এ নির্বাচন যে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ হয়েছে সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে নেই। এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মী খুনের বিষয়টিও প্রতিবেদনে আসেনি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় প্রতিবেদনটি একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
টিআইবিকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করে উজ্জ্বল করারও আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:০৩

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এটি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষের একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টিআইবি নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য-গবেষণার কথা বলে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটি ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজার নিজ বাসভবনে মিট দা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার টিআইবি সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ড. হাছান মাহমুদ টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু এই প্রতিবেদন নয়, এর আগে টিআইবি পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মনগড়া, একপেশে প্রতিবেদন দিয়েছিল। যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচন দেশ-বিদেশে সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র নির্বাচনের পর বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন জোট এবং আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যারা আমাদের দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছিলেন তারা এ নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অতীতেও দেখতে পেয়েছি, তারা যে গবেষণার কথা বলে, সে গবেষণাগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সঠিক গবেষণা নয়। এর আগে টিআইবি পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সে প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করে হেরে যায়। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনী সাজানোর জন্য তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘৮০০ প্রার্থীকে ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল, যা নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে কোন বক্তব্য নাই। এ নির্বাচন যে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ হয়েছে সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে নেই। এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মী খুনের বিষয়টিও প্রতিবেদনে আসেনি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় প্রতিবেদনটি একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
টিআইবিকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করে উজ্জ্বল করারও আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।