দুর্নীতি করলেই ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যা প্রয়োজন তার সব তো আমরা মেটাচ্ছি তাহলে দুর্নীতি কেন হবে? কাজেই এখানে মানুষের মন মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে।”
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সুনির্দিষ্ট একটা নির্দেশনা যেতে হবে, একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত- কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রশাসনে দুর্নীতি হলেই সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান।”
টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। বিগত সরকারের সময়ের মতো মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি বাড়াতে এবং সৃজনশীলতার বিকাশে এবারও পর্যায়ক্রমে সবগুলো মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জনপ্রশাসন দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি তা আমরা পূরণ করতে পারব; তার জন্য প্রয়োজন সুশাসন, তার জন্য দরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা। আমরা বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এত বেশি বৃদ্ধি করে দিয়েছি- সেই ক্ষেত্রে আমি তো মনে করি আমাদের এই দুর্নীতির কোন প্রয়োজনই নাই।”
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সততা-আন্তরিকতা নিয়ে জনসেবার করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপরিচালনার হার্ট জনপ্রশাসন। আপনাদের সেইভাবে কাজ করতে হবে, আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবেন।”
জনপ্রশাসনে পদোন্নতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “আর প্রশাসনসহ সবক্ষেত্রে শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয় এখানে দক্ষতাটাকে প্রাধান্য দিতে হবে।”
“কে কত বেশি কাজ করতে পারে, সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবে এবং নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবে সবকিছু বিবেচনা করে প্রমোশন হওয়া উচিত।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যা প্রয়োজন তার সব তো আমরা মেটাচ্ছি তাহলে দুর্নীতি কেন হবে? কাজেই এখানে মানুষের মন মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে।”
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সুনির্দিষ্ট একটা নির্দেশনা যেতে হবে, একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত- কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।”
প্রশাসনে দুর্নীতি হলেই সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান।”
টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। বিগত সরকারের সময়ের মতো মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি বাড়াতে এবং সৃজনশীলতার বিকাশে এবারও পর্যায়ক্রমে সবগুলো মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জনপ্রশাসন দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি তা আমরা পূরণ করতে পারব; তার জন্য প্রয়োজন সুশাসন, তার জন্য দরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা। আমরা বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এত বেশি বৃদ্ধি করে দিয়েছি- সেই ক্ষেত্রে আমি তো মনে করি আমাদের এই দুর্নীতির কোন প্রয়োজনই নাই।”
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সততা-আন্তরিকতা নিয়ে জনসেবার করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপরিচালনার হার্ট জনপ্রশাসন। আপনাদের সেইভাবে কাজ করতে হবে, আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবেন।”
জনপ্রশাসনে পদোন্নতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “আর প্রশাসনসহ সবক্ষেত্রে শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয় এখানে দক্ষতাটাকে প্রাধান্য দিতে হবে।”
“কে কত বেশি কাজ করতে পারে, সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবে এবং নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবে সবকিছু বিবেচনা করে প্রমোশন হওয়া উচিত।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।