‘তাবলিগের ফিতনা’ থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দেওবন্দের
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ১১:১৬
গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখল নিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি: দেশ রূপান্তর
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুই গ্রুপের কারো সঙ্গেই সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ।
বৃহস্পতিবার দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘দ্বীনের প্রচার, ইসলামের দাওয়াত আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাবলিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সৃষ্ট ফিতনা থেকে দারুল উলুমকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
দেওবন্দের সিদ্ধান্ত, ‘দারুল উলুমের প্রতিটি ছাত্র উভয় দল (সাদ- শুরা) থেকে সম্পর্কহীন থাকবে। এজন্য ছাত্ররা দারুল উলুমের অভ্যন্তরে বহিরাগত বা ভিতরগত কোনো তাবলিগি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’
এ নির্দেশ অমান্য করলে ছাত্রদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ।
তাবলিগের চলমান সংকটের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের আগস্টে দারুল উলুম দেওবন্দ ঘোষণা করে, বিভেদ না মেটা পর্যন্ত দারুল উলুমের ভেতর তাবলিগের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ কান্দলবির কিছু কথায় নবী-রাসুলদের বিষয়ে বেয়াদবিমূলক মন্তব্য এবং তিনি কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যায় জমহুর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সঠিক পথপন্থা থেকে সরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তাবলিগের দেওবন্দপন্থীরা।
এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধী তীব্রতর হয়। তাবলিগের সর্ববৃহৎ জমায়েত বাংলাদেশের টঙ্গীতে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব ইজতেমায়ও এর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি দুপক্ষের সংঘর্ষ ও খুনোখুনির ঘটনায় এ বছর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেছে। আদৌ ইজতেমা হবে কিনা এনিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ১১:১৬

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুই গ্রুপের কারো সঙ্গেই সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ।
বৃহস্পতিবার দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘দ্বীনের প্রচার, ইসলামের দাওয়াত আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাবলিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে সৃষ্ট ফিতনা থেকে দারুল উলুমকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
দেওবন্দের সিদ্ধান্ত, ‘দারুল উলুমের প্রতিটি ছাত্র উভয় দল (সাদ- শুরা) থেকে সম্পর্কহীন থাকবে। এজন্য ছাত্ররা দারুল উলুমের অভ্যন্তরে বহিরাগত বা ভিতরগত কোনো তাবলিগি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’
এ নির্দেশ অমান্য করলে ছাত্রদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ।
তাবলিগের চলমান সংকটের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের আগস্টে দারুল উলুম দেওবন্দ ঘোষণা করে, বিভেদ না মেটা পর্যন্ত দারুল উলুমের ভেতর তাবলিগের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ কান্দলবির কিছু কথায় নবী-রাসুলদের বিষয়ে বেয়াদবিমূলক মন্তব্য এবং তিনি কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যায় জমহুর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সঠিক পথপন্থা থেকে সরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তাবলিগের দেওবন্দপন্থীরা।
এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধী তীব্রতর হয়। তাবলিগের সর্ববৃহৎ জমায়েত বাংলাদেশের টঙ্গীতে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব ইজতেমায়ও এর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি দুপক্ষের সংঘর্ষ ও খুনোখুনির ঘটনায় এ বছর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেছে। আদৌ ইজতেমা হবে কিনা এনিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।