ভালো-খারাপ মানের রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং দেওয়ার পদ্ধতি চালু রাজধানীতে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:১২
রবিবার রাজধানীর পল্টনে রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং প্রদানের মাধ্যমে গ্রেডিং পদ্ধতির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
দেশের রেস্টুরেন্টগুলোকে গ্রেডিং পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। খাদ্যের মান, পরিবেশ, সেবা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই গ্রেডিং প্রদান করা হবে।
রবিবার রাজধানীর পল্টনের ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ৫৭টি রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং প্রদানের মাধ্যমে গ্রেডিং পদ্ধতির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
গ্রেডিং প্রদানের সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই গ্রেডিং পদ্ধতি তদারকির দায়িত্ব শুধু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের না। রেস্টুরেন্টের মালিকরা যদি সচেতন হয়, নিজের প্রতিষ্ঠান যদি ঠিক রাখে- তাহলে এই গ্রেডিং প্রদান সফল হবে।’
রেস্টুরেন্ট মালিকদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেডিং পেয়ে মনে করা যাবে না লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এই গ্রেডিং স্থায়ী নয়। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মানের অবনতি হলে গ্রেড বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, মানের সঙ্গে মূল্যটাও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভালো গ্রেড পেয়ে মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
প্রাথমিক পর্যায়ে মতিঝিল, পুরানা পল্টন, ফকিরাপুল, দিলকুশা ও গুলিস্তান এলাকার ২০০ রেস্টুরেন্টের মান যাচাই করার পর ৫৭ রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১৮ রেস্টুরেন্টকে ‘এ প্লাস’ এবং ৩৯ রেস্টুরেন্টকে ‘এ’ গ্রেড প্রদান করা হয়।
বাকি গ্রেডিংগুলো এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
গ্রেডিং পদ্ধতির ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বলেন, রেস্টুরেন্টগুলোকে চারটি গ্রেডে ভাগ করা হবে। গ্রেডিং প্রদানের জন্য রেস্টুরেন্টের খাবারের মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, গ্রাহক সেবা ইত্যাদি যাচাইয়ের পর ১০০-র মধ্যে যারা ৯০-১০০ পাবে তাদের ‘এ প্লাস’ প্রদান করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, তারা একটি গ্রিন সবুজ স্টিকার পাবে, যা রেস্টুরেন্টে লাগিয়ে রাখবে। ৮০-৮৯ পয়েন্ট প্রাপ্তরা পাবে ‘এ’ গ্রেডের নিল স্টিকার। এ ছাড়া ৬০-৭৯ পয়েন্ট প্রাপ্তদের ‘বি’ গ্রেড প্রদান করা হবে। তারা পাবে হলুদ স্টিকার।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই ‘এ’ অথবা ‘এ প্লাস’ গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে হবে। উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৬০ পয়েন্টের কম প্রাপ্তরা ‘সি’ গ্রেডের কমলা রঙের স্টিকার পাবে। তারা এক মাসের মধ্যে ওপরের গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে না পারলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেছেন, রাজধানীতে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রবর্তনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, যাদের গ্রেডিং দেওয়া হচ্ছে তাদের অবশ্যই মনিটরিংয়ে রাখা উচিত। উৎপাদন পর্যায়কেও এই মনিটরিংয়ের আওতায় আনার ব্যাপারে জোর দেন তিনি।
রেস্টুরেন্ট মালিকদের উপস্থিতিতে গ্রেডিং প্রদান ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার রবিন। সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:১২

দেশের রেস্টুরেন্টগুলোকে গ্রেডিং পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। খাদ্যের মান, পরিবেশ, সেবা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই গ্রেডিং প্রদান করা হবে।
রবিবার রাজধানীর পল্টনের ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ৫৭টি রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং প্রদানের মাধ্যমে গ্রেডিং পদ্ধতির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
গ্রেডিং প্রদানের সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই গ্রেডিং পদ্ধতি তদারকির দায়িত্ব শুধু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের না। রেস্টুরেন্টের মালিকরা যদি সচেতন হয়, নিজের প্রতিষ্ঠান যদি ঠিক রাখে- তাহলে এই গ্রেডিং প্রদান সফল হবে।’
রেস্টুরেন্ট মালিকদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেডিং পেয়ে মনে করা যাবে না লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এই গ্রেডিং স্থায়ী নয়। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মানের অবনতি হলে গ্রেড বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, মানের সঙ্গে মূল্যটাও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভালো গ্রেড পেয়ে মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
প্রাথমিক পর্যায়ে মতিঝিল, পুরানা পল্টন, ফকিরাপুল, দিলকুশা ও গুলিস্তান এলাকার ২০০ রেস্টুরেন্টের মান যাচাই করার পর ৫৭ রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১৮ রেস্টুরেন্টকে ‘এ প্লাস’ এবং ৩৯ রেস্টুরেন্টকে ‘এ’ গ্রেড প্রদান করা হয়।
বাকি গ্রেডিংগুলো এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
গ্রেডিং পদ্ধতির ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বলেন, রেস্টুরেন্টগুলোকে চারটি গ্রেডে ভাগ করা হবে। গ্রেডিং প্রদানের জন্য রেস্টুরেন্টের খাবারের মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, গ্রাহক সেবা ইত্যাদি যাচাইয়ের পর ১০০-র মধ্যে যারা ৯০-১০০ পাবে তাদের ‘এ প্লাস’ প্রদান করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, তারা একটি গ্রিন সবুজ স্টিকার পাবে, যা রেস্টুরেন্টে লাগিয়ে রাখবে। ৮০-৮৯ পয়েন্ট প্রাপ্তরা পাবে ‘এ’ গ্রেডের নিল স্টিকার। এ ছাড়া ৬০-৭৯ পয়েন্ট প্রাপ্তদের ‘বি’ গ্রেড প্রদান করা হবে। তারা পাবে হলুদ স্টিকার।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই ‘এ’ অথবা ‘এ প্লাস’ গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে হবে। উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৬০ পয়েন্টের কম প্রাপ্তরা ‘সি’ গ্রেডের কমলা রঙের স্টিকার পাবে। তারা এক মাসের মধ্যে ওপরের গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে না পারলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেছেন, রাজধানীতে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রবর্তনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, যাদের গ্রেডিং দেওয়া হচ্ছে তাদের অবশ্যই মনিটরিংয়ে রাখা উচিত। উৎপাদন পর্যায়কেও এই মনিটরিংয়ের আওতায় আনার ব্যাপারে জোর দেন তিনি।
রেস্টুরেন্ট মালিকদের উপস্থিতিতে গ্রেডিং প্রদান ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার রবিন। সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।