কসবা সীমান্তের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো সমাধান আসেনি
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:২৮
কসবা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবি মধ্যকার পতাকা বৈঠক
তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর কাজিয়াতুলী সীমান্তের ওপারে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার বিজিবি-বিএসএফ'র মধ্যে কোনো প্রকার পতাকা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি। বিজিবির পক্ষ থেকে টহল বাড়ানো সহ সতর্ক অবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
বিজিবির একটি সূত্র জানায়,আমরা পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রথমদিনের মতোই সতর্কাবস্থায় রয়েছে আমাদের বাহিনী। এদিকে খোলা আকাশের নীচে তীব্র শীতে মানবেতর জীবন-যাপনকারী রোহিঙ্গা সদস্যদের প্রতি সদয় হয়েছে বিএসএফ। তাদেরকে টাবু টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা সহ খাবার ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন,গতকাল সোমবার বিএসএফ আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের জন্য দুটি টাবু টানিয়েছে। এমনকী তাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ পৌঁছানো হয়েছে বলেও আমরা জেনেছি। আটকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে দেখা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২০২৯ পিলারের কাছে ওই ৩১জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৮জন পুরুষ, ৬জন নারী ও ১৭জন শিশু। বিএসএফ তাদেরকে রাত ৮ টার দিকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কাজিয়াতুলি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানো ঠেকাতে সচেষ্ট হয়ে পড়ে।
এদিকে ভারতের সীমান্ত বাহিনী দাবি করেছে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সি এল বেলওয়া রোববার পিটিআইকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্তে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে এসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। আমরা তাদের থামিয়ে দিয়েছি।’
এ নিয়ে গত শনিবার দিনভর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের কড়া পাহারা দিতে দেখা যায়। সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ও আতংক দেখা দেয়। রোববার বিজিবি-বিএসএফ দু,দফা পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:২৮

তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর কাজিয়াতুলী সীমান্তের ওপারে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার বিজিবি-বিএসএফ'র মধ্যে কোনো প্রকার পতাকা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি। বিজিবির পক্ষ থেকে টহল বাড়ানো সহ সতর্ক অবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
বিজিবির একটি সূত্র জানায়,আমরা পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রথমদিনের মতোই সতর্কাবস্থায় রয়েছে আমাদের বাহিনী। এদিকে খোলা আকাশের নীচে তীব্র শীতে মানবেতর জীবন-যাপনকারী রোহিঙ্গা সদস্যদের প্রতি সদয় হয়েছে বিএসএফ। তাদেরকে টাবু টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা সহ খাবার ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন,গতকাল সোমবার বিএসএফ আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের জন্য দুটি টাবু টানিয়েছে। এমনকী তাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ পৌঁছানো হয়েছে বলেও আমরা জেনেছি। আটকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে দেখা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২০২৯ পিলারের কাছে ওই ৩১জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৮জন পুরুষ, ৬জন নারী ও ১৭জন শিশু। বিএসএফ তাদেরকে রাত ৮ টার দিকে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কাজিয়াতুলি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানো ঠেকাতে সচেষ্ট হয়ে পড়ে।
এদিকে ভারতের সীমান্ত বাহিনী দাবি করেছে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সি এল বেলওয়া রোববার পিটিআইকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্তে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে এসব রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল। আমরা তাদের থামিয়ে দিয়েছি।’
এ নিয়ে গত শনিবার দিনভর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের কড়া পাহারা দিতে দেখা যায়। সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ও আতংক দেখা দেয়। রোববার বিজিবি-বিএসএফ দু,দফা পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।