মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ
ঢাবি প্রতিনিধি | ২২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:৫৯
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মঙ্গলবার শাহবাগে প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: দেশ রূপান্তর
সব ধরনের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এতে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এর আগে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়। পরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ করলে তার আশপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
অবরোধকারীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড ধারণ করেন। সেগুলোতে ‘৩০ ভাগ কোটার পুনর্বহাল ও শতভাগ বাস্তবায়ন চাই’, ‘স্ব-ঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় কেন; মেধাবীরা বলতে পার’, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জয় হোক’, ‘যারা দেশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে জানে না তারা কেমন মেধাবী’ ইত্যাদি স্লোগান তুলে ধরেন। প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী এতে অংশ নেয়।
কর্মসূচির প্রায় আধা ঘণ্টা পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়নুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অবরোধস্থলে গিয়ে তাদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার্থে আমরা ত্রিশ ভাগ কোটা চাই। এটা আমাদের অধিকার।
ছাত্রলীগের এই দুই নেতার অবরোধকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, আপনারা জনভোগান্তি সৃষ্টি না করে শান্তি পূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা হবে বলেও আন্দোলনকারীদের জানান তারা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা অবস্থান নিয়েছে। তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
ঢাবি প্রতিনিধি | ২২ জানুয়ারি, ২০১৯ ২১:৫৯

সব ধরনের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। এতে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এর আগে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়। পরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে রাস্তা অবরোধ করলে তার আশপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
অবরোধকারীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড ধারণ করেন। সেগুলোতে ‘৩০ ভাগ কোটার পুনর্বহাল ও শতভাগ বাস্তবায়ন চাই’, ‘স্ব-ঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় কেন; মেধাবীরা বলতে পার’, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জয় হোক’, ‘যারা দেশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে জানে না তারা কেমন মেধাবী’ ইত্যাদি স্লোগান তুলে ধরেন। প্রায় অর্ধশত আন্দোলনকারী এতে অংশ নেয়।
কর্মসূচির প্রায় আধা ঘণ্টা পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়নুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অবরোধস্থলে গিয়ে তাদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার্থে আমরা ত্রিশ ভাগ কোটা চাই। এটা আমাদের অধিকার।
ছাত্রলীগের এই দুই নেতার অবরোধকারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, আপনারা জনভোগান্তি সৃষ্টি না করে শান্তি পূর্ণ কর্মসূচি পালন করুন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা হবে বলেও আন্দোলনকারীদের জানান তারা।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা অবস্থান নিয়েছে। তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।