জঙ্গি শরিফুল যেভাবে সংগঠিত করেছিল হলি আর্টিজান হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:১৪
গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলাকারী ‘ইস্তেহাদী’ (আত্মঘাতী) দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিল জেএমবি নেতা শরিফুল ইসলাম খালেদ ওরফে রাহাত ওরফে সাইফুল্লাহ ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সোলাইমান (২৭)।
হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে অর্থ সংগ্রহ ও হামলাকারীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছিল শরিফুল।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন একটি আস্তানায় সারোয়ার জাহান, তামীম এবং গ্রেপ্তার শরিফুলসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সদস্য বৈঠক করে। এ ছাড়া পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ঢাকায় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার জঙ্গি শরিফুলও অংশ নেয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলামকে গত ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেছেন, গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা এলাকায় ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করে। সে বাগমারা পাইলট হাইস্কুল থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে।
সে এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এ+ গ্রেডিং প্রাপ্ত হয়েছিল। এরপর সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ সেশনে ইংরেজি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, অনার্স ৩য় বর্ষে এসে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আহসান হাবিব ওরফে শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে যুক্ত হয় শরিফুল ইসলাম। প্রথমে সে শোভনের মাধ্যমে রাজশাহীকেন্দ্রিক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সমমানদের নিয়ে গঠিত একটি উগ্রবাদী গ্রুপে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করত। পরবর্তীতে রাজশাহীতে শোভনের মেসে শরিফুলের সঙ্গে অন্যতম জঙ্গি শীর্ষনেতা তামীম চৌধুরীর পরিচয় হয়।
র্যাব জানিয়েছে, ২০১৫ সালে মামুনুর রশীদ ওরফে রিপনের বগুড়ার বাসায় সারোয়ার জাহান, তামিম, সাদ্দাম, মারজান ও সাকিব মাস্টার একত্রে বৈঠক করে। মিটিংয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদও উপস্থিত ছিল। তখন শরিফুল’কে জেএমবি’র মিডিয়া শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও হামলাকারী জঙ্গি নির্বাচনে জঙ্গি নেতা শরিফুলের বিশেষ ভূমিকা ছিল। হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন একটি আস্তানায় সারোয়ার জাহান, তামীম এবং শরিফুলসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সদস্য বৈঠক করে। এ ছাড়া পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ঢাকায় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জঙ্গি শরিফুলও অংশ নেয়।
তিনি আরো জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান হামলার আগে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যায় অংশ নেয়ার পর সে আত্মগোপনে যায়। এ সময় অপর জঙ্গি নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন তার সঙ্গে ছিল। আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তারা মোট ৩৯ লাখ টাকা প্রেরণ করে, যা হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করার বিষয়ে গ্রেপ্তার জঙ্গি শরিফুল প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তারা বলেছে, সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থানীয় জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে রেকি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ এবং অবস্থান ও গতিবিধি ইত্যাদি নজরদারি করা হয়েছিল।
জঙ্গি সদস্য রিপন আলী ওরফে রকির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের ক্লাসের রুটিন মোবাইলে ক্যামেরা দ্বারা ছবি তুলে শরিফুলকে প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ জানিয়েছেন, ওসমান মিলু ও মাসকাওয়াত ওরফে আব্দুল্লাহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। শরিফুলের নেতৃত্বে এই হত্যা সংগঠিত হয়। হত্যা শেষে হাসান ওরফে বাইক হাসান মোটরসাইকেলে শরিফুল ও খাইরুল ইসলাম ওরফে পায়েলকে নিয়ে রওনা দিয়ে খরখড়ি বাইপাসের নিকট খাইরুলকে নামিয়ে দেয়।
তিনি জানিয়েছেন, খাইরুল ইসলাম চাপাতি, রক্তমাখা কাপড়-চোপড়ের ব্যাগ নিয়ে যায়। হাসান ও শরিফুল তাহেরপুর হয়ে নাটোরে হাসানের ভাড়া বাসায় ওঠে। পরদিন সে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় ২/১ দিন অবস্থান করার পর আমিরের নির্দেশে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শরিফুল ওরফে খালিদ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। সে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের দিকে আবার আত্মগোপন থেকে বের হয়ে জঙ্গিদের সংগঠিত করে আবারও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:১৪

গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলাকারী ‘ইস্তেহাদী’ (আত্মঘাতী) দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিল জেএমবি নেতা শরিফুল ইসলাম খালেদ ওরফে রাহাত ওরফে সাইফুল্লাহ ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সোলাইমান (২৭)।
হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে অর্থ সংগ্রহ ও হামলাকারীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছিল শরিফুল।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গুলশানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন একটি আস্তানায় সারোয়ার জাহান, তামীম এবং গ্রেপ্তার শরিফুলসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সদস্য বৈঠক করে। এ ছাড়া পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ঢাকায় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার জঙ্গি শরিফুলও অংশ নেয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলামকে গত ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেছেন, গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা এলাকায় ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করে। সে বাগমারা পাইলট হাইস্কুল থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে।
সে এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এ+ গ্রেডিং প্রাপ্ত হয়েছিল। এরপর সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ সেশনে ইংরেজি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, অনার্স ৩য় বর্ষে এসে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আহসান হাবিব ওরফে শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে যুক্ত হয় শরিফুল ইসলাম। প্রথমে সে শোভনের মাধ্যমে রাজশাহীকেন্দ্রিক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সমমানদের নিয়ে গঠিত একটি উগ্রবাদী গ্রুপে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের সদস্যরা অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করত। পরবর্তীতে রাজশাহীতে শোভনের মেসে শরিফুলের সঙ্গে অন্যতম জঙ্গি শীর্ষনেতা তামীম চৌধুরীর পরিচয় হয়।
র্যাব জানিয়েছে, ২০১৫ সালে মামুনুর রশীদ ওরফে রিপনের বগুড়ার বাসায় সারোয়ার জাহান, তামিম, সাদ্দাম, মারজান ও সাকিব মাস্টার একত্রে বৈঠক করে। মিটিংয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদও উপস্থিত ছিল। তখন শরিফুল’কে জেএমবি’র মিডিয়া শাখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনা ছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও হামলাকারী জঙ্গি নির্বাচনে জঙ্গি নেতা শরিফুলের বিশেষ ভূমিকা ছিল। হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন একটি আস্তানায় সারোয়ার জাহান, তামীম এবং শরিফুলসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সদস্য বৈঠক করে। এ ছাড়া পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ঢাকায় বিভিন্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সব বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জঙ্গি শরিফুলও অংশ নেয়।
তিনি আরো জানিয়েছেন, হলি আর্টিজান হামলার আগে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যায় অংশ নেয়ার পর সে আত্মগোপনে যায়। এ সময় অপর জঙ্গি নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন তার সঙ্গে ছিল। আত্মগোপন থাকা অবস্থায় তারা মোট ৩৯ লাখ টাকা প্রেরণ করে, যা হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করার বিষয়ে গ্রেপ্তার জঙ্গি শরিফুল প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তারা বলেছে, সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থানীয় জঙ্গি সদস্যদের মাধ্যমে রেকি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ এবং অবস্থান ও গতিবিধি ইত্যাদি নজরদারি করা হয়েছিল।
জঙ্গি সদস্য রিপন আলী ওরফে রকির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের ক্লাসের রুটিন মোবাইলে ক্যামেরা দ্বারা ছবি তুলে শরিফুলকে প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ জানিয়েছেন, ওসমান মিলু ও মাসকাওয়াত ওরফে আব্দুল্লাহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। শরিফুলের নেতৃত্বে এই হত্যা সংগঠিত হয়। হত্যা শেষে হাসান ওরফে বাইক হাসান মোটরসাইকেলে শরিফুল ও খাইরুল ইসলাম ওরফে পায়েলকে নিয়ে রওনা দিয়ে খরখড়ি বাইপাসের নিকট খাইরুলকে নামিয়ে দেয়।
তিনি জানিয়েছেন, খাইরুল ইসলাম চাপাতি, রক্তমাখা কাপড়-চোপড়ের ব্যাগ নিয়ে যায়। হাসান ও শরিফুল তাহেরপুর হয়ে নাটোরে হাসানের ভাড়া বাসায় ওঠে। পরদিন সে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় ২/১ দিন অবস্থান করার পর আমিরের নির্দেশে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, শরিফুল ওরফে খালিদ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। সে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের দিকে আবার আত্মগোপন থেকে বের হয়ে জঙ্গিদের সংগঠিত করে আবারও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।