চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্রতীকী অনশনে সেকায়েপ শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১০:৪৬
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে এবার প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন সেকায়েপ প্রকল্পের শিক্ষকরা। দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে জানিয়ে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মো. শাহাদাতুল মুঈদ জানান, দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পরও কোনো ঘোষণা না আসায় তারা অনশন শুরু করেছেন।
আরও জানান, ২০১৭ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্প (সেকায়েপ) শেষ হওয়ার পর ১৪ মাস ধরে তারা বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চাকরি স্থায়ীকরণের সুপারিশ করে চিঠি দিলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো তা বাস্তবায়ন করেনি।
তিনি বলেন, “মৌখিক আশ্বাসে আমরা এত দিন ক্লাস নিয়ে এসেছি। এবার স্থায়ীকরণের লিখিত ঘোষণা নিয়ে স্কুলে ফিরে যেতে চাই।”
রোববার সকালে সারা দেশের শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ জানান, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেকায়েপ প্রকল্প শুরু হয়। এর অধীনে দুই হাজার ১০০টি স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয় ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের পাঁচ হাজার ২০০ জন শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, প্রকল্প শেষে এ শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি স্থায়ীকরণের কথা থাকলেও গত ১৩ মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন প্রকল্প এসইডিপি চালুর সিদ্ধান্ত হলেও সেখানে এসিটিদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১০:৪৬

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে এবার প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন সেকায়েপ প্রকল্পের শিক্ষকরা। দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে জানিয়ে অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মো. শাহাদাতুল মুঈদ জানান, দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের পরও কোনো ঘোষণা না আসায় তারা অনশন শুরু করেছেন।
আরও জানান, ২০১৭ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্প (সেকায়েপ) শেষ হওয়ার পর ১৪ মাস ধরে তারা বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চাকরি স্থায়ীকরণের সুপারিশ করে চিঠি দিলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো তা বাস্তবায়ন করেনি।
তিনি বলেন, “মৌখিক আশ্বাসে আমরা এত দিন ক্লাস নিয়ে এসেছি। এবার স্থায়ীকরণের লিখিত ঘোষণা নিয়ে স্কুলে ফিরে যেতে চাই।”
রোববার সকালে সারা দেশের শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ জানান, ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেকায়েপ প্রকল্প শুরু হয়। এর অধীনে দুই হাজার ১০০টি স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয় ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের পাঁচ হাজার ২০০ জন শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, প্রকল্প শেষে এ শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরি স্থায়ীকরণের কথা থাকলেও গত ১৩ মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন প্রকল্প এসইডিপি চালুর সিদ্ধান্ত হলেও সেখানে এসিটিদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।