রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দ্বিতীয় দিন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১২:২৭
হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্পে পৌঁছান এবং সেখানকার শিক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
পরে কুতুপালং ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। একই ক্যাম্পে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দুর্দশার কথা শোনেন।
দুপুরে কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোপ ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন ও কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
একই সঙ্গে বিকেল ৩টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দুই দিনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসেছেন। সোমবার টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সারা দিন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। বুধবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বেসরকারি বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান জোলি। এরপর কক্সবাজারের ইনানীতে একটি হোটেলে ওঠেন। পরে দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১নং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে নির্যাতিত ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের কাহিনি শোনেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে এখন দিন কাটছে তাদের। এসব রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা শুনে ঢাকায় আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জোলি।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জোলি যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের দেখতে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে অন্তত চারবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাংলাদেশ সফর বাতিল করা হয়।
২০১৮ সালের ২১ মে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত হিসেবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফরে তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১২:২৭

হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্পে পৌঁছান এবং সেখানকার শিক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।
পরে কুতুপালং ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। একই ক্যাম্পে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দুর্দশার কথা শোনেন।
দুপুরে কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোপ ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন ও কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
একই সঙ্গে বিকেল ৩টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দুই দিনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসেছেন। সোমবার টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সারা দিন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। বুধবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বেসরকারি বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান জোলি। এরপর কক্সবাজারের ইনানীতে একটি হোটেলে ওঠেন। পরে দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১নং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে নির্যাতিত ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের কাহিনি শোনেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে এখন দিন কাটছে তাদের। এসব রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা শুনে ঢাকায় আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জোলি।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জোলি যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের দেখতে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে অন্তত চারবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাংলাদেশ সফর বাতিল করা হয়।
২০১৮ সালের ২১ মে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’র বিশেষ দূত হিসেবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফরে তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।