শেখ হাসিনা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২১:৫৪
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবি: ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ইউএনএইচসিআর এর বিশেষ দূত ও জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ সময় মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জোলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধান হতে হবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা বর্তমানে পৃথিবীতে খুবই কম। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ওপর চাপ কমাতে ইউএনএইচসিআর এবং বিশ্ব ব্যাংক কাজ করছে।
রোহিঙ্গা সংকটে ইউএনএইচসিআর সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জোলি জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি মিয়ানমারের নাগরিকদের ওপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কাহিনি শুনেছেন।
বৈঠকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তার বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বিগত সময়ে তার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা নাগরিকদের ওপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কথা শুনেছি।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত জন্ম নিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি নতুন শিশু।
রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং ভাসানচরে তাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
সাক্ষাতের সময় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২১:৫৪

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ইউএনএইচসিআর এর বিশেষ দূত ও জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ সময় মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জোলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধান হতে হবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা বর্তমানে পৃথিবীতে খুবই কম। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ওপর চাপ কমাতে ইউএনএইচসিআর এবং বিশ্ব ব্যাংক কাজ করছে।
রোহিঙ্গা সংকটে ইউএনএইচসিআর সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জোলি জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি মিয়ানমারের নাগরিকদের ওপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কাহিনি শুনেছেন।
বৈঠকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তার বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বিগত সময়ে তার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা নাগরিকদের ওপর চালানো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের কথা শুনেছি।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত জন্ম নিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি নতুন শিশু।
রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং ভাসানচরে তাদের অস্থায়ী পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
সাক্ষাতের সময় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।