তিস্তার পানি-বণ্টন সমস্যার সমাধান নিয়ে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫৬
ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ বেশ কিছু বড় সমস্যার সমাধান করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশ দুটি ধীরে ধীরে তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি-বণ্টন সমস্যার সমাধান করবে।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। এই আশাবাদের ওপর ভিত্তি করে আমরা আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব গড়ে তুলেছি। শুধু তিস্তা নয়, অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানি-বণ্টনও ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
এর আগে শুক্রবার সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং তিস্তার পানি-বণ্টন চুক্তি সমাধান করতে ভারতকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সমাধান করতে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। ভারত সফরকে সফল আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তার প্রথমে ভারত সফরের সিদ্ধান্ত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সবাই খুব প্রশংসা করেছেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে অগ্রাধিকারের বিষয় হিসেবে উঠে আসা অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।
ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের পাঠানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি রোহিঙ্গা হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক না হন তাহলে ভারত সরকার তাদের বাংলাদেশে পাঠাবে না। তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে, বাংলাদেশে নয়।
দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশন- জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন ড. মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এটাই প্রথম বিদেশ সফর।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:৫৬
ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ বেশ কিছু বড় সমস্যার সমাধান করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশ দুটি ধীরে ধীরে তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি-বণ্টন সমস্যার সমাধান করবে।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত থেকে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। এই আশাবাদের ওপর ভিত্তি করে আমরা আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব গড়ে তুলেছি। শুধু তিস্তা নয়, অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানি-বণ্টনও ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
এর আগে শুক্রবার সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং তিস্তার পানি-বণ্টন চুক্তি সমাধান করতে ভারতকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সমাধান করতে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। ভারত সফরকে সফল আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তার প্রথমে ভারত সফরের সিদ্ধান্ত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সবাই খুব প্রশংসা করেছেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে অগ্রাধিকারের বিষয় হিসেবে উঠে আসা অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন রোডম্যাপ বাস্তবায়নে ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।
ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের পাঠানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি রোহিঙ্গা হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক না হন তাহলে ভারত সরকার তাদের বাংলাদেশে পাঠাবে না। তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে, বাংলাদেশে নয়।
দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশন- জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন ড. মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এটাই প্রথম বিদেশ সফর।