উপজেলা পরিষদ সদস্যরা স্বপদে থেকে প্রার্থী হতে পারবেন : ইসি সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:১৬
উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান) পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন কমিশন অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, “উপজেলা পরিষদের সদস্যরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা জেলা পরিষদের সদস্যদের পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। পদত্যাগ না করলে তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তা বাতিল ঘোষিত হবে। নির্বাচনী আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইসি এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।”
তিনি আরও বলেন, “তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া অনেক কলেজ সরকারি হয়েছে কিন্তু সেখানে যারা চাকরি করেন। তারা এখনো সরকারি হন নাই। তাদেরকেও উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করতে হলে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আরও বেশি জটিল সে বিষয়েও নজর রাখার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সচিব।
এর আগে প্রথম ধাপের তফসিল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ বা অন্য কোনো পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পরে এ বিষয়ে ইসির তরফে একটি নির্দেশনা জারি করার কথা বলা হলেও প্রথম ধাপের মনোনয়ন দাখিল করা পর্যন্ত সময়ে বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৮-এর ধারা ৮ (২) ধারায় ‘চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান হইবার বা থাকিবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা’ উল্লেখ করা হয়েছে। ধারার (ঙ) উপধারায় বলা হয়েছে, (যদি কেউ) প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন, (তাহলে তিনি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন)। (চ) ধারায় বলা হয়েছে, (যদি) তিনি জাতীয় সংসদে সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন (তাহলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না)।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:১৬

উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান) পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন কমিশন অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, “উপজেলা পরিষদের সদস্যরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা জেলা পরিষদের সদস্যদের পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। পদত্যাগ না করলে তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তা বাতিল ঘোষিত হবে। নির্বাচনী আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইসি এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।”
তিনি আরও বলেন, “তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া অনেক কলেজ সরকারি হয়েছে কিন্তু সেখানে যারা চাকরি করেন। তারা এখনো সরকারি হন নাই। তাদেরকেও উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করতে হলে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। ”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আরও বেশি জটিল সে বিষয়েও নজর রাখার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সচিব।
এর আগে প্রথম ধাপের তফসিল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ বা অন্য কোনো পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। পরে এ বিষয়ে ইসির তরফে একটি নির্দেশনা জারি করার কথা বলা হলেও প্রথম ধাপের মনোনয়ন দাখিল করা পর্যন্ত সময়ে বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা-২০১৮-এর ধারা ৮ (২) ধারায় ‘চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান হইবার বা থাকিবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা’ উল্লেখ করা হয়েছে। ধারার (ঙ) উপধারায় বলা হয়েছে, (যদি কেউ) প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন, (তাহলে তিনি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন)। (চ) ধারায় বলা হয়েছে, (যদি) তিনি জাতীয় সংসদে সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন (তাহলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না)।