অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে আসে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৩৪
ছবি: বাসস
বিএনপি-প্রধান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একেবারে শুরু থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস জানায়, জার্মানি সফররত প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারা জানতো তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল, নির্বাচনে জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই তারা সবসময় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে।”
বিএনপির পরাজয়ের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাত্র ২৮টি আসনে জিতেছে, সেই নির্বাচনের স্বীকৃতি সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ২০০৮ এর চেয়েও ভালো ফলাফলের আশা তারা কীভাবে করে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সারাদেশ জুড়ে যে সব সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছিল জনগণ তা ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি পরাজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল, তারা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আন্তরিক ছিল না, তাই হেরেছে, এটাই বাস্তবতা।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান মামলার পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সুতরাং, বড় প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনে কেন মানুষ তাদেরকে ভোট দেবে?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে দেওয়ায় জনসমর্থন হারিয়েছে। এটিও তাদের পরাজয়ের জন্য অন্যতম প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি এবং তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দেশের সাত জায়গায় মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে এবং এতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি থাকবে না।
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এই প্রথম বিদেশ সফর করেন এবং মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৩৪

বিএনপি-প্রধান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একেবারে শুরু থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাসস জানায়, জার্মানি সফররত প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারা জানতো তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল, নির্বাচনে জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই তারা সবসময় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে।”
বিএনপির পরাজয়ের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাত্র ২৮টি আসনে জিতেছে, সেই নির্বাচনের স্বীকৃতি সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ২০০৮ এর চেয়েও ভালো ফলাফলের আশা তারা কীভাবে করে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সারাদেশ জুড়ে যে সব সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছিল জনগণ তা ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি পরাজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল, তারা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আন্তরিক ছিল না, তাই হেরেছে, এটাই বাস্তবতা।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান মামলার পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সুতরাং, বড় প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনে কেন মানুষ তাদেরকে ভোট দেবে?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে দেওয়ায় জনসমর্থন হারিয়েছে। এটিও তাদের পরাজয়ের জন্য অন্যতম প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, এখন বিএনপি এবং তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দেশের সাত জায়গায় মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে এবং এতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি থাকবে না।
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এই প্রথম বিদেশ সফর করেন এবং মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন।