দেশ বাঁচাতে হবে, ইয়াবা কারবারিদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আবদুল আজিজ, টেকনাফ থেকে | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৩৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়। আগে দেশ বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো প্রকার মাদক ও অবৈধ নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বিজিবিকেই দায়িত্বপালন করতে হবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা আল্লাহ কাছে মাফ চান। আপনারা ভালো হয়ে যান। দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে আসুন।”
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি, তারা দ্রুত আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। না হলে ইয়াবা কারবারি যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এসব ইয়াবা কারবারিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি।
এসময় ইয়াবা কারবারিরা ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জমা দেন।
অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারী দুজন ইয়াবা কারবারি তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তারা জীবনে আর কোনদিন মাদক কারবার করবে না বলে ওয়াদা করেন এবং অন্যদেরও এই ব্যবসায় না আসার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করে কারাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
আবদুল আজিজ, টেকনাফ থেকে | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৩৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়। আগে দেশ বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো প্রকার মাদক ও অবৈধ নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বিজিবিকেই দায়িত্বপালন করতে হবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা আল্লাহ কাছে মাফ চান। আপনারা ভালো হয়ে যান। দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে আসুন।”
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি, তারা দ্রুত আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। না হলে ইয়াবা কারবারি যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক ও সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এসব ইয়াবা কারবারিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি।
এসময় ইয়াবা কারবারিরা ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জমা দেন।
অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণকারী দুজন ইয়াবা কারবারি তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তারা জীবনে আর কোনদিন মাদক কারবার করবে না বলে ওয়াদা করেন এবং অন্যদেরও এই ব্যবসায় না আসার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করে কারাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে।