দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ১ হাজার ২০০ মিটার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:৫০
পদ্মা বহুমুখী সেতুতে বসলো অষ্টম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। বুধবার ভোরে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করলেও ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হয়। এর ফলে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ১ হাজার ২০০ মিটার।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে অষ্টম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি জাজিরার নাওডোবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। স্প্যানটি বিকেলে জাজিরার নাওডোবার প্রান্তে পৌঁছে। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানো হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’ দিয়ে মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। জাজিরা নাওডোবা প্রান্তের ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান ও সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ষষ্ঠ স্প্যান বসানো হয় জাজিরা প্রান্তে।
গত বছরের শেষ দিকে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানো হয়।
বুধবার জাজিরার নাওডোবায় বসানো হলো আরেকটি স্প্যান। পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যান বসলো আটটি। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:৫০

পদ্মা বহুমুখী সেতুতে বসলো অষ্টম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। বুধবার ভোরে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করলেও ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়। পরে দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হয়। এর ফলে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ১ হাজার ২০০ মিটার।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে অষ্টম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি জাজিরার নাওডোবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। স্প্যানটি বিকেলে জাজিরার নাওডোবার প্রান্তে পৌঁছে। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানো হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’ দিয়ে মাওয়া থেকে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। জাজিরা নাওডোবা প্রান্তের ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান ও সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ষষ্ঠ স্প্যান বসানো হয় জাজিরা প্রান্তে।
গত বছরের শেষ দিকে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানো হয়।
বুধবার জাজিরার নাওডোবায় বসানো হলো আরেকটি স্প্যান। পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যান বসলো আটটি। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার।