কেমিক্যালের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৯:১৭
কেমিক্যাল থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানালেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চকবাজার এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা বলেন তিনি।
পুরান ঢাকার চকবাজারে সাততলা ভবনে বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ইতিমধ্যে ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই ভবন থেকে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আইজিপি বলেন, “একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম। তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল যেগুলো গ্যাসে চলে। এই আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল যার ভেতর অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে।”
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, “ঘটনাস্থলের চারদিকে রাস্তাগুলো অনেক সরু। আশপাশে পানির কোনো উৎসও ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার।”
আরও বলেন, “এখনই সময় জিঞ্জিরা এলাকা থেকে কেমিক্যালের যতগুলো সরিয়ে ফেলা। এ জন্য সিটি করপোরেশনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশও অবশ্যই সহযোগিতা করবে।”
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জুয়েল রহমান রাত ২টায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এদিকে আগুন লাগার পর চকবাজার এলাকার গ্যাসলাইন থেকেও ওই সময় আগুন বের হচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল। ভবনের পাশেই ছিল বেশ কিছু রেস্তোরাঁ। সেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় এসব গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে এক কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানি হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৯:১৭

কেমিক্যাল থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানালেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চকবাজার এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা বলেন তিনি।
পুরান ঢাকার চকবাজারে সাততলা ভবনে বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ইতিমধ্যে ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই ভবন থেকে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আইজিপি বলেন, “একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম। তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল যেগুলো গ্যাসে চলে। এই আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল যার ভেতর অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে।”
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, “ঘটনাস্থলের চারদিকে রাস্তাগুলো অনেক সরু। আশপাশে পানির কোনো উৎসও ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার।”
আরও বলেন, “এখনই সময় জিঞ্জিরা এলাকা থেকে কেমিক্যালের যতগুলো সরিয়ে ফেলা। এ জন্য সিটি করপোরেশনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশও অবশ্যই সহযোগিতা করবে।”
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জুয়েল রহমান রাত ২টায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এদিকে আগুন লাগার পর চকবাজার এলাকার গ্যাসলাইন থেকেও ওই সময় আগুন বের হচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল। ভবনের পাশেই ছিল বেশ কিছু রেস্তোরাঁ। সেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় এসব গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে এক কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানি হয়।