এখনো নিখোঁজ অনেকে, স্বজনদের আহাজারি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৯:২২
পুরান ঢাকার চকবাজারে সাততলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে। লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হতাহত ও নিখোঁজদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। হাফিজ নামের একজন তার তিন স্বজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাগ্নি, ভাগ্নির জামাই ও তাদের দুই মেয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের বড় ছেলেটাকে খুঁজে পেয়েছি। বাচ্চাটার একপাশ পুড়ে গেছে। বাকি তিনজনকে এখনও খুঁজে পাইনি। সব মেডিকেলে খুঁজতেছি, কোথাও পাচ্ছি না।’
স্থানীয়রা জানায়, চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে প্রয়াত ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চার তলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা পাশের রাজমনি নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং সরু রাস্তার উল্টো দিকের তিনটি ভবনে ছড়ায়।
যে ভবনে প্রথম আগুন লাগে, তার নিচতলায় একটি দোকান রয়েছে, দোতলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রসাধন-প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম। উপরের দুটি তলায় রয়েছে বাসা।
ওই ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ভোরের দিকেও দগ্ধ অবস্থায় লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জুয়েল রহমান রাত ২টায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তল্লাশি সম্পন্ন হলে হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৯:২২

পুরান ঢাকার চকবাজারে সাততলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর নিহতের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে। লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হতাহত ও নিখোঁজদের স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। হাফিজ নামের একজন তার তিন স্বজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাগ্নি, ভাগ্নির জামাই ও তাদের দুই মেয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের বড় ছেলেটাকে খুঁজে পেয়েছি। বাচ্চাটার একপাশ পুড়ে গেছে। বাকি তিনজনকে এখনও খুঁজে পাইনি। সব মেডিকেলে খুঁজতেছি, কোথাও পাচ্ছি না।’
স্থানীয়রা জানায়, চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে প্রয়াত ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চার তলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর তা পাশের রাজমনি নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং সরু রাস্তার উল্টো দিকের তিনটি ভবনে ছড়ায়।
যে ভবনে প্রথম আগুন লাগে, তার নিচতলায় একটি দোকান রয়েছে, দোতলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রসাধন-প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদাম। উপরের দুটি তলায় রয়েছে বাসা।
ওই ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ভোরের দিকেও দগ্ধ অবস্থায় লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জুয়েল রহমান রাত ২টায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তল্লাশি সম্পন্ন হলে হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলেও জানান তিনি।