যেভাবে আগুন লাগল
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:০২
রাতের মধ্যেই আগুনে পুড়ে জীবন্ত মারা গেল ৭০টি প্রাণ। পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ এ আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, সেটিই প্রশ্ন এখন সবার। ধারণা করা হচ্ছে, চুড়িহাট্টা বড় মসজিদের সামনে থাকা যানজটে আটকে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, একটি পিকআপের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই পিকআপে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। একই সময়ে প্রাইভেট কারের সিএনজি সিলিন্ডারটিও বিস্ফোরণ হয়। তবে কোনটি আগে ঘটেছে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।
এদিকে ওই মুহূর্তে অন্যান্য রিকশাসহ অন্যান্য গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। রাস্তার পাশার একাধিক রেস্টুরেন্টে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার রান্নার সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে। একইভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে।
এভাবে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের চুড়িহাট্টা এলাকার পুরো চৌরাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে । একে একে বিস্ফোরিত হতে থাকে প্রতিটি গাড়ির সিলিন্ডার। এমন সময় যানজটে আটকে পড়েন শত শত মানুষ। গাড়িতে, মোটরসাইকেলে, অটোরিকশা, রিকশায় থাকা যাত্রী এবং পথচারীদের অনেকেই আগুন থেকে বাঁচতে আশপাশের দোকানে আশ্রয় নেন।
স্থানীয়দের অনেকেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণকে মনে করেছিলেন হয়তো বোমা ফুটেছে কোথাও। তাদের কারও কারও মতে, ওয়াহিদ ম্যানসনের পাশের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:০২

রাতের মধ্যেই আগুনে পুড়ে জীবন্ত মারা গেল ৭০টি প্রাণ। পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ এ আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, সেটিই প্রশ্ন এখন সবার। ধারণা করা হচ্ছে, চুড়িহাট্টা বড় মসজিদের সামনে থাকা যানজটে আটকে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মুহূর্তের মধ্যে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, একটি পিকআপের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই পিকআপে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। একই সময়ে প্রাইভেট কারের সিএনজি সিলিন্ডারটিও বিস্ফোরণ হয়। তবে কোনটি আগে ঘটেছে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।
এদিকে ওই মুহূর্তে অন্যান্য রিকশাসহ অন্যান্য গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। রাস্তার পাশার একাধিক রেস্টুরেন্টে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার রান্নার সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে। একইভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরণ ঘটে।
এভাবে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের চুড়িহাট্টা এলাকার পুরো চৌরাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে । একে একে বিস্ফোরিত হতে থাকে প্রতিটি গাড়ির সিলিন্ডার। এমন সময় যানজটে আটকে পড়েন শত শত মানুষ। গাড়িতে, মোটরসাইকেলে, অটোরিকশা, রিকশায় থাকা যাত্রী এবং পথচারীদের অনেকেই আগুন থেকে বাঁচতে আশপাশের দোকানে আশ্রয় নেন।
স্থানীয়দের অনেকেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণকে মনে করেছিলেন হয়তো বোমা ফুটেছে কোথাও। তাদের কারও কারও মতে, ওয়াহিদ ম্যানসনের পাশের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে।