বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে চকবাজার ট্রাজেডি
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৫:০৩
পুরান ঢাকার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উঠে এসেছে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে। গত রাতে চকবাজারের ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এ ঘটনায় মারা গেছে ৭০ এর অধিক মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, এনডিটিভিসহ বিশ্বের সব শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রচার করছে। কিছুক্ষণ পরপর তারা এ ঘটনার আপডেটও দিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক এলাকা চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতদের অনেকেই ছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথি। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরার শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুরোনো অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি। বিশদ প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা ৬৯ জন বলে জানায়।
ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আশপাশের ভবনে আগুন ধরে যায়। এতে থাকা ক্যামিকেলের গুদাম আক্রান্ত হলে ভয়াবহ রূপ নেয় এ অগ্নিকাণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, বাংলাদেশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত। এর প্রতিবেদনেও উঠে আসে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি।
বিশদ প্রতিবেদনে এটি জানায়, পূর্বেও অগ্নিকাণ্ডে নিহতের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ভবন নির্মাণে অব্যবস্থপনা, ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ বসবাস, তদারকি সংস্থার নজরদারিতে অবহেলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের কারণে দেশটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকে।
২০১২ সালের তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জনের প্রাণহানির ঘটনাও উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান শিরোনাম করে, ঢাকায় কেমিক্যাল গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭০। পুরান ঢাকার সরু গলিতে আটকে পড়ে প্রাণ হারায় এসব মানুষ।
ভারতের এনডিটিভি শিরোনামে লিখেছে, ঢাকার ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু, টুইটে শোক প্রকাশ মমতার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের শিরোনাম, বাংলাদেশের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৫:০৩
পুরান ঢাকার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উঠে এসেছে বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে। গত রাতে চকবাজারের ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এ ঘটনায় মারা গেছে ৭০ এর অধিক মানুষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, এনডিটিভিসহ বিশ্বের সব শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রচার করছে। কিছুক্ষণ পরপর তারা এ ঘটনার আপডেটও দিচ্ছে।
বিবিসি জানায়, রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক এলাকা চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতদের অনেকেই ছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথি। তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরার শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুরোনো অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি। বিশদ প্রতিবেদনে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা ৬৯ জন বলে জানায়।
ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আশপাশের ভবনে আগুন ধরে যায়। এতে থাকা ক্যামিকেলের গুদাম আক্রান্ত হলে ভয়াবহ রূপ নেয় এ অগ্নিকাণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, বাংলাদেশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত। এর প্রতিবেদনেও উঠে আসে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি।
বিশদ প্রতিবেদনে এটি জানায়, পূর্বেও অগ্নিকাণ্ডে নিহতের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ভবন নির্মাণে অব্যবস্থপনা, ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ বসবাস, তদারকি সংস্থার নজরদারিতে অবহেলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের কারণে দেশটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকে।
২০১২ সালের তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জনের প্রাণহানির ঘটনাও উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান শিরোনাম করে, ঢাকায় কেমিক্যাল গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭০। পুরান ঢাকার সরু গলিতে আটকে পড়ে প্রাণ হারায় এসব মানুষ।
ভারতের এনডিটিভি শিরোনামে লিখেছে, ঢাকার ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু, টুইটে শোক প্রকাশ মমতার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের শিরোনাম, বাংলাদেশের ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জন নিহত। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।