চকবাজার ট্র্যাজেডি
১৮ লাশের ৩০ স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ, ৩ জনের দাবিদার নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:০৩
চকবাজারে আগুনে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত না হওয়া লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের কর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১৮ টি লাশের ৩০ স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। শনিবারও সকাল ৯টা থেকে লাশের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
কোনো কোনো পরিবারের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। স্বজন পরিচয়ে যারা আসছেন, তাদের রক্তের পাশাপাশি গালের অভ্যন্তরের টিস্যু সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে মর্গে থাকা ২১ লাশের মধ্যে ৩টি লাশের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত কোন দাবিদার আসেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই লাশের জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়নি।
সিআইডি'র ফরেনসিক বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নমুনাগুলো সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখানে আগে থেকেই সংগ্রহে রাখা ২১ টি লাশের ডিএনএ রিপোর্টের সাথে মিললে লাশগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় সকাল থেকেই ভিড় করেন লাশের স্বজনরা। প্রিয়জনের লাশটা শেষ বারের মতন দেখতে চান তারা। তবে কবে লাশ পাবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় স্বজনরা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা বলেন, যাদের চেনার উপায় নেই, তাদের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি এখন ডিএনএ স্যাম্পলের ওপরই নির্ভর করছে। এ পরীক্ষার জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে নয়জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও ‘শঙ্কামুক্ত নয়’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে আরও একজনের লাশ নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৮টি লাশ অন্য চার মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে চারটি, কুর্মিটোলায় তিনটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঁচটি এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে পাঁচটি লাশ রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২৩:০৩

চকবাজারে আগুনে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত না হওয়া লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের কর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১৮ টি লাশের ৩০ স্বজনের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি। শনিবারও সকাল ৯টা থেকে লাশের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
কোনো কোনো পরিবারের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। স্বজন পরিচয়ে যারা আসছেন, তাদের রক্তের পাশাপাশি গালের অভ্যন্তরের টিস্যু সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে মর্গে থাকা ২১ লাশের মধ্যে ৩টি লাশের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত কোন দাবিদার আসেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই লাশের জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়নি।
সিআইডি'র ফরেনসিক বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নমুনাগুলো সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখানে আগে থেকেই সংগ্রহে রাখা ২১ টি লাশের ডিএনএ রিপোর্টের সাথে মিললে লাশগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় সকাল থেকেই ভিড় করেন লাশের স্বজনরা। প্রিয়জনের লাশটা শেষ বারের মতন দেখতে চান তারা। তবে কবে লাশ পাবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় স্বজনরা।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা বলেন, যাদের চেনার উপায় নেই, তাদের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি এখন ডিএনএ স্যাম্পলের ওপরই নির্ভর করছে। এ পরীক্ষার জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে নয়জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও ‘শঙ্কামুক্ত নয়’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে আরও একজনের লাশ নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৮টি লাশ অন্য চার মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে চারটি, কুর্মিটোলায় তিনটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঁচটি এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে পাঁচটি লাশ রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।