কৃষিতে বিনিয়োগ করবে কানাডা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২২:১৭
বাংলাদেশের কৃষি খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির জন্য কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে কানাডা। রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রিফন্টেইন সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, শস্যের বৈচিত্র্য আনয়ন ও নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে কানাডা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন লক্ষণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করছে কানাডা।
এ সময় বাংলাদেশের কোন কোন খাতে কানাডা বিনিয়োগ করতে পারে তা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রিফন্টেইন বলেন, চলতি বছর খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে কানাডা সরকার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাধান্য পাবে। আমরা বাংলাদেশকে কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ টেকনিক্যাল সহায়তা করব। শস্যের বৈচিত্র্য আনয়নে ও নতুন জাত উদ্ভাবনে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।,
কানাডার রাষ্ট্রদূতের আগ্রহের প্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়, কৃষির উপ-খাতেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে। দেশের পোলট্রি শিল্প এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফসল, সবজি ফলসহ পোলট্রি ও ডেইরি ফার্মেও উৎপাদন ভালো। তবে সবক্ষেত্রে উৎপাদন ভালো হলেও কৃষক লাভবান হচ্ছেন না। উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে তেমন তারতম্য নেই। অনেক সময় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন উৎপাদনকারীরা।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে কৃষি সেক্টর লাভবান হবে। এ ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগে কানাডার সহযোগিতা চাই। এ ছাড়া আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষক ও টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে এ সেক্টর আরও লাভবান হবে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কানাডা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিনিয়োগ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের ইন্ডাস্ট্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে কানাডার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২২:১৭

বাংলাদেশের কৃষি খাতে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির জন্য কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে কানাডা। রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রিফন্টেইন সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, শস্যের বৈচিত্র্য আনয়ন ও নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে কানাডা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন লক্ষণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করছে কানাডা।
এ সময় বাংলাদেশের কোন কোন খাতে কানাডা বিনিয়োগ করতে পারে তা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রিফন্টেইন বলেন, চলতি বছর খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে কানাডা সরকার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাধান্য পাবে। আমরা বাংলাদেশকে কৃষি গবেষণা প্রশিক্ষণসহ টেকনিক্যাল সহায়তা করব। শস্যের বৈচিত্র্য আনয়নে ও নতুন জাত উদ্ভাবনে আমরা যৌথভাবে কাজ করব।,
কানাডার রাষ্ট্রদূতের আগ্রহের প্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়, কৃষির উপ-খাতেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে। দেশের পোলট্রি শিল্প এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফসল, সবজি ফলসহ পোলট্রি ও ডেইরি ফার্মেও উৎপাদন ভালো। তবে সবক্ষেত্রে উৎপাদন ভালো হলেও কৃষক লাভবান হচ্ছেন না। উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে তেমন তারতম্য নেই। অনেক সময় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন উৎপাদনকারীরা।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে কৃষি সেক্টর লাভবান হবে। এ ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগে কানাডার সহযোগিতা চাই। এ ছাড়া আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষক ও টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে এ সেক্টর আরও লাভবান হবে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কানাডা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবিলায় বিনিয়োগ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের ইন্ডাস্ট্রি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে কানাডার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।