আমি ওই বিমানে ছিলাম না: বাদল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২২:৫৮
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের যে ফ্লাইট ছিনতাই চেষ্টা হয়েছিল তাতে সাংসদ মইনউদ্দিন খান বাদল ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন। তবে ঘটনার সময় তিনি বিমানবন্দরেই ছিলেন।
রবিবার চট্টগ্রাম থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান নারায়ণগঞ্জের পলাশ নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ওই তরুণ।
জাসদের (আম্বিয়া) কার্যকরি সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশনে এসেছে আমি ওই বিমানে ছিলাম। আমি ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল। তারপর আমি ওখানে ছিলাম ঢাকায় আসার জন্য।
তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছে। বললো, একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। বলতে বলতে প্লেনটি ল্যান্ড করলো। আগে এই প্লেনটাতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং ছিলেন। আমি তাকে বললাম, সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এখানে থাকা। আমি টারমার্কে চলে গেলাম। টারমার্কে আমাকে দেখে অনেকে মনে করেছে, আমিও প্যাসেঞ্জার ছিলাম। আমি শেষ পর্যন্ত ওখানে উপস্থিত ছিলাম। নানা কাহিনি বিস্তার লাভ করেছে।”
“মোদ্দাকথা হলো, একজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি পেছন থেকে দৌড়ে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছিল। পাইলটকে দরজা খোলার জন্য বলছিল। পাইলট দরজা খোলেনি। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম, পাইলটের সঙ্গে তার মল্লযুদ্ধ হয়েছে। এসব কিচ্ছু হয়নি।”
“পাইলট তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। তখন সে বলেছে ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।”
“পাইলট তাকে এনগেজ করে বলেছে, ‘নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, একটু সময় লাগবে।’ পাইলট তাকে এনগেজ রেখেছিল। পাইলট চট্টগ্রামের বিমানবাহিনীর কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পাইলট অত্যন্ত দূরদর্শিতার সঙ্গে, ঠান্ডা মাথায়, সাহসিকতার সঙ্গে চট্টগ্রামে প্লেনটি ল্যান্ড করে। আমাদের বিমানের যে ক্রু, তিনটা মেয়ে, দুইটা ছেলে—ওদের নাম নিম্মি, হোসনে আরা, রুমা, সাগর ও সাকুর, তারাও যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা বিজনেস ও ইকোনমি ক্লাসের পর্দা টেনে দিয়ে দরজা খুলে দেয়। যাতে যাত্রীরা নেমে আসতে পারেন।”
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রিয়েল হিরোরা স্বীকৃতি পায় না। আমি উপস্থিত থেকে দেখেছি ক্যাপ্টেন গোলাম শফি, ফার্স্ট অফিসার মুনতাসীর মাহবুব ও পাঁচজন ক্রু, এই বাঙালি ছেলেমেয়েরা অসম সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো, এদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। দুই ঘণ্টা ৩২ মিনিটের মাথায় বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হয়। দুনিয়ার বহু জায়গায় সারা দিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২২:৫৮

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের যে ফ্লাইট ছিনতাই চেষ্টা হয়েছিল তাতে সাংসদ মইনউদ্দিন খান বাদল ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন। তবে ঘটনার সময় তিনি বিমানবন্দরেই ছিলেন।
রবিবার চট্টগ্রাম থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান নারায়ণগঞ্জের পলাশ নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ওই তরুণ।
জাসদের (আম্বিয়া) কার্যকরি সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশনে এসেছে আমি ওই বিমানে ছিলাম। আমি ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল। তারপর আমি ওখানে ছিলাম ঢাকায় আসার জন্য।
তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম লোকজন দৌড়াদৌড়ি করছে। বললো, একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। বলতে বলতে প্লেনটি ল্যান্ড করলো। আগে এই প্লেনটাতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং ছিলেন। আমি তাকে বললাম, সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এখানে থাকা। আমি টারমার্কে চলে গেলাম। টারমার্কে আমাকে দেখে অনেকে মনে করেছে, আমিও প্যাসেঞ্জার ছিলাম। আমি শেষ পর্যন্ত ওখানে উপস্থিত ছিলাম। নানা কাহিনি বিস্তার লাভ করেছে।”
“মোদ্দাকথা হলো, একজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি পেছন থেকে দৌড়ে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছিল। পাইলটকে দরজা খোলার জন্য বলছিল। পাইলট দরজা খোলেনি। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম, পাইলটের সঙ্গে তার মল্লযুদ্ধ হয়েছে। এসব কিচ্ছু হয়নি।”
“পাইলট তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। তখন সে বলেছে ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।”
“পাইলট তাকে এনগেজ করে বলেছে, ‘নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, একটু সময় লাগবে।’ পাইলট তাকে এনগেজ রেখেছিল। পাইলট চট্টগ্রামের বিমানবাহিনীর কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পাইলট অত্যন্ত দূরদর্শিতার সঙ্গে, ঠান্ডা মাথায়, সাহসিকতার সঙ্গে চট্টগ্রামে প্লেনটি ল্যান্ড করে। আমাদের বিমানের যে ক্রু, তিনটা মেয়ে, দুইটা ছেলে—ওদের নাম নিম্মি, হোসনে আরা, রুমা, সাগর ও সাকুর, তারাও যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা বিজনেস ও ইকোনমি ক্লাসের পর্দা টেনে দিয়ে দরজা খুলে দেয়। যাতে যাত্রীরা নেমে আসতে পারেন।”
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রিয়েল হিরোরা স্বীকৃতি পায় না। আমি উপস্থিত থেকে দেখেছি ক্যাপ্টেন গোলাম শফি, ফার্স্ট অফিসার মুনতাসীর মাহবুব ও পাঁচজন ক্রু, এই বাঙালি ছেলেমেয়েরা অসম সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো, এদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। দুই ঘণ্টা ৩২ মিনিটের মাথায় বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হয়। দুনিয়ার বহু জায়গায় সারা দিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে।’