সিটি নির্বাচনে সব দলের না আসা ইসির জন্য অস্বস্তিকর: সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:২০
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে সব দলের অংশ না নেওয়া 'অস্বস্তিকর' বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কেএম নূরুল হুদা।
বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের প্রতি অনাস্থা নয়। তবে সব দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।
সিইসি বলেন, ভোট প্রিজাইডিং অফিসার যদি মনে করে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তিনি ভোট বন্ধ করে শুধু আমাদের জানাবেন। ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। আর যদি সামগ্রিকভাবে কোন এলাকায় ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে অনুমতি চাইবে। পরে কমিশন যদি মনে করে গোটা এলাকায় ভোট বন্ধ করা দরকার, তাহলে কমিশন গোটা এলাকার ভোট বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা। কোন কেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তাৎক্ষণিক ভোট স্থগিত হবে।
সিইসি বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক ইমার্জেন্সি বিষয় আছে। এয়ারপোর্টে একজন যাত্রী যাবে, এ কারণে কি বন্ধ থাকবে, অ্যাম্বুলেন্স যাবে, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের জিনিসগুলো যাবে, এ রকম জিনিসগুলো বিবেচনা করে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যাতে এভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যাপকভাবে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।’ বাস চলতে পারবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেইন রোডে চলবে।’
প্রাইভেট ভেহিক্যাল আছে প্রচুর, এগুলো চলাচলের ওপর আপনার নির্দেশনা কী-এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘না, প্রাইভেট ভেহিক্যাল নির্ধারিত কোনো কাজ ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। ঘোরাফেরা করার জন্য তো আর চলবে না। এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করার দরকার নেই। এটা ঢাকা শহর তো অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি বিষয় থাকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা থাকবেন, তারা এগুলো বুঝবেন।’
সিইসি বলেন, উত্তরের উপনির্বাচন ও উত্তর-দক্ষিণের সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাই। এজেন্টদের নির্বাচনে কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোটে পর্যবেক্ষণ করা ও ফলাফলের কপি নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানাই। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।
ভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরে সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:২০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে সব দলের অংশ না নেওয়া 'অস্বস্তিকর' বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কেএম নূরুল হুদা।
বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের প্রতি অনাস্থা নয়। তবে সব দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।
সিইসি বলেন, ভোট প্রিজাইডিং অফিসার যদি মনে করে পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তিনি ভোট বন্ধ করে শুধু আমাদের জানাবেন। ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। আর যদি সামগ্রিকভাবে কোন এলাকায় ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে অনুমতি চাইবে। পরে কমিশন যদি মনে করে গোটা এলাকায় ভোট বন্ধ করা দরকার, তাহলে কমিশন গোটা এলাকার ভোট বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা। কোন কেন্দ্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তাৎক্ষণিক ভোট স্থগিত হবে।
সিইসি বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক ইমার্জেন্সি বিষয় আছে। এয়ারপোর্টে একজন যাত্রী যাবে, এ কারণে কি বন্ধ থাকবে, অ্যাম্বুলেন্স যাবে, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের জিনিসগুলো যাবে, এ রকম জিনিসগুলো বিবেচনা করে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যাতে এভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যাপকভাবে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।’ বাস চলতে পারবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেইন রোডে চলবে।’
প্রাইভেট ভেহিক্যাল আছে প্রচুর, এগুলো চলাচলের ওপর আপনার নির্দেশনা কী-এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘না, প্রাইভেট ভেহিক্যাল নির্ধারিত কোনো কাজ ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। ঘোরাফেরা করার জন্য তো আর চলবে না। এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করার দরকার নেই। এটা ঢাকা শহর তো অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি বিষয় থাকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা থাকবেন, তারা এগুলো বুঝবেন।’
সিইসি বলেন, উত্তরের উপনির্বাচন ও উত্তর-দক্ষিণের সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাই। এজেন্টদের নির্বাচনে কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোটে পর্যবেক্ষণ করা ও ফলাফলের কপি নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানাই। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।
ভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরে সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবে। বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।