বইমেলা দুই দিন বাড়ানোর দাবি
পাভেল রহমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:৪৬
ছবি: দেশ রূপান্তর
বুধবার বিকেল ৩টায় প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার পর লোক সমাগম বাড়তে থাকে বইমেলায়। মাত্র দেড় ঘণ্টা বইমেলা খোলা থাকার পরই শুরু হয় বৃষ্টির দাপট। টানা ঝুম বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গণ।
বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থাগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের স্টলের বইয়ের সুরক্ষায়। বইপ্রেমী লোকজন আশ্রয় নেয় নিরাপদ জায়গায়।
বুধবার বইমেলার ২৭তম দিনে ছিল এমন দৃশ্য। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় বৃষ্টির জন্য মেলা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বোঝা যাবে বৃষ্টিতে কেমন ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আগাম তথ্য আমরা প্রকাশকদের জানিয়েছি। তারা সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছেন।’
এদিকে বৃষ্টি এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে বইমেলা দুই দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি।
তবে বইমেলা বাড়ানো হবে কিনা? এমন প্রশ্নে ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মেলার অবস্থা দেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে বৃহস্পতিবার যথারীতি ৩টায় মেলার প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হবে।’
এদিকে বইমেলায় শেষ দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মেলার ছন্দপতন হয়েছে বলে মনে করেন প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, ‘বইমেলার শেষ দিনগুলোতে এসে বিক্রি ভালো হয়। গত দুই দিন মেলায় বিক্রি ভালো হয়েছে। শেষ দুই দিনে ভালো বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সব বন্ধ হয়ে গেল।’
একই রকম মন্তব্য করলেন ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের আদিত্য অন্তর। তিনি বলেন, ‘মেলার ধারাবাহিকতায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটিয়েছে এই বৃষ্টি।’
তবে বুধবার সন্ধ্যায় মেলা বন্ধ ঘোষণার পর জানা যায়নি ক্ষতির পরিমাণ। কিছু কিছু প্রকাশনার স্টলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে বই। এ ছাড়া মেলায় আসা অগণিত বইপ্রেমী বৃষ্টির বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনেও বুধবার মেলায় নতুন বই এসেছে ২৪৮টি। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্য অনুযায়ী গল্পগ্রন্থ ২৪টি, উপন্যাস ৩০টি, প্রবন্ধ ১২টি, কবিতা ১০২টি, গবেষণা ৩টি, ছড়া ২৩টি, শিশুসাহিত্য ১০টি, জীবনী ১১টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬টি, বিজ্ঞান ৪টি, ভ্রমণ ১টি, চি:/স্বাস্থ্য ৫টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি, অন্যান্য ১১টি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
পাভেল রহমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:৪৬

বুধবার বিকেল ৩টায় প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার পর লোক সমাগম বাড়তে থাকে বইমেলায়। মাত্র দেড় ঘণ্টা বইমেলা খোলা থাকার পরই শুরু হয় বৃষ্টির দাপট। টানা ঝুম বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গণ।
বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থাগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের স্টলের বইয়ের সুরক্ষায়। বইপ্রেমী লোকজন আশ্রয় নেয় নিরাপদ জায়গায়।
বুধবার বইমেলার ২৭তম দিনে ছিল এমন দৃশ্য। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় বৃষ্টির জন্য মেলা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বোঝা যাবে বৃষ্টিতে কেমন ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হতে পারে বলে আগাম তথ্য আমরা প্রকাশকদের জানিয়েছি। তারা সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছেন।’
এদিকে বৃষ্টি এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে বইমেলা দুই দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি।
তবে বইমেলা বাড়ানো হবে কিনা? এমন প্রশ্নে ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে মেলার অবস্থা দেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে বৃহস্পতিবার যথারীতি ৩টায় মেলার প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হবে।’
এদিকে বইমেলায় শেষ দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মেলার ছন্দপতন হয়েছে বলে মনে করেন প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল।
তিনি বলেন, ‘বইমেলার শেষ দিনগুলোতে এসে বিক্রি ভালো হয়। গত দুই দিন মেলায় বিক্রি ভালো হয়েছে। শেষ দুই দিনে ভালো বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সব বন্ধ হয়ে গেল।’
একই রকম মন্তব্য করলেন ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের আদিত্য অন্তর। তিনি বলেন, ‘মেলার ধারাবাহিকতায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটিয়েছে এই বৃষ্টি।’
তবে বুধবার সন্ধ্যায় মেলা বন্ধ ঘোষণার পর জানা যায়নি ক্ষতির পরিমাণ। কিছু কিছু প্রকাশনার স্টলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে বই। এ ছাড়া মেলায় আসা অগণিত বইপ্রেমী বৃষ্টির বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনেও বুধবার মেলায় নতুন বই এসেছে ২৪৮টি। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্য অনুযায়ী গল্পগ্রন্থ ২৪টি, উপন্যাস ৩০টি, প্রবন্ধ ১২টি, কবিতা ১০২টি, গবেষণা ৩টি, ছড়া ২৩টি, শিশুসাহিত্য ১০টি, জীবনী ১১টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৬টি, বিজ্ঞান ৪টি, ভ্রমণ ১টি, চি:/স্বাস্থ্য ৫টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি, অন্যান্য ১১টি।