পয়লা মার্চ ভোটার দিবস, চলছে প্রস্তুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৩২
প্রথমবারের মতো ‘ভোটার দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পয়লা মার্চ ভোটার দিবস উদযাপন করতে নির্বাচন ভবনসহ সারা দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যে নির্বাচন ভবন চলছে সাজসজ্জার কাজ। ভবনের চারপাশ সাজানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য কমিশনারদের ছবি, ‘১ মার্চ ভোটার দিবস’ লেখা সংবলিত নানা ব্যানারে। শুক্রবার র্যালি করার জন্য নির্বাচন ভবনে আনা হয়েছে নানা সাজ-সরঞ্জাম।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার দিবসে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচির আয়োজনের কাজ চলছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভোটার দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনের সামনে থেকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন পর্যন্ত র্যালি হবে সকালে।
বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা হবে। তাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ইসির পাঁচ কমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
স্থানীয় পর্যায়ের দিবস উদযাপনের বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ও ১ মার্চ এই দুই দিন সব আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয় আলোতে সাজানো হবে। ১ মার্চ ভোটার দিবসে সকাল ৯টায় স্থানীয়ভাবে উদ্বোধন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এই আয়োজনে অধিক সংখ্যক অংশগ্রহণকারী নিশ্চিত করতে বলেছে ইসি।
এরপর বেলা সাড়ে ১০টায় আলোচনা অনুষ্ঠান ও ভোটার সেবা কার্যক্রম, সাড়ে ১১টায় চা-চক্র এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, ভোটার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোস্টার ইসি সচিবালয় থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
১৯৯৬ সালের পর ২০০৮-এ সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ইসির তথ্যমতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৮৭.১৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। এরপর আরও দুইবার টানা ক্ষমতায় এসেছে দলটি। এই সরকারের আমলেই সিদ্ধান্ত হয় জাতীয় ভোটার দিবস উদ্যাপনের।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৩২

প্রথমবারের মতো ‘ভোটার দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পয়লা মার্চ ভোটার দিবস উদযাপন করতে নির্বাচন ভবনসহ সারা দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যে নির্বাচন ভবন চলছে সাজসজ্জার কাজ। ভবনের চারপাশ সাজানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য কমিশনারদের ছবি, ‘১ মার্চ ভোটার দিবস’ লেখা সংবলিত নানা ব্যানারে। শুক্রবার র্যালি করার জন্য নির্বাচন ভবনে আনা হয়েছে নানা সাজ-সরঞ্জাম।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার দিবসে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচির আয়োজনের কাজ চলছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভোটার দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনের সামনে থেকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন পর্যন্ত র্যালি হবে সকালে।
বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা হবে। তাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ইসির পাঁচ কমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।

স্থানীয় পর্যায়ের দিবস উদযাপনের বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ও ১ মার্চ এই দুই দিন সব আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয় আলোতে সাজানো হবে। ১ মার্চ ভোটার দিবসে সকাল ৯টায় স্থানীয়ভাবে উদ্বোধন ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এই আয়োজনে অধিক সংখ্যক অংশগ্রহণকারী নিশ্চিত করতে বলেছে ইসি।
এরপর বেলা সাড়ে ১০টায় আলোচনা অনুষ্ঠান ও ভোটার সেবা কার্যক্রম, সাড়ে ১১টায় চা-চক্র এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা আরও জানান, ভোটার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোস্টার ইসি সচিবালয় থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
১৯৯৬ সালের পর ২০০৮-এ সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ইসির তথ্যমতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৮৭.১৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। এরপর আরও দুইবার টানা ক্ষমতায় এসেছে দলটি। এই সরকারের আমলেই সিদ্ধান্ত হয় জাতীয় ভোটার দিবস উদ্যাপনের।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।