সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
সরকারের নেওয়া ৮ পদক্ষেপে শিক্ষা থেকে শিশুদের ঝরে পড়া কমেছে
বিশেষ প্রতিনিধি | ৫ মার্চ, ২০১৯ ০১:৫৬
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধে সরকার ৮ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার সংসদে উত্থাপিত চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সাংসদ মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে প্রতিটি বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক শিশু জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা, নিয়মিত মা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক এবং হোম ভিজিট, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
সরকারের এসব দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগের সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ৬৪ জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলায় ১৫-৪৫ বছর বয়স্ক ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৮শ শ্রেণি পর্যন্ত চালুকরণের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভালো ভৌত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ রয়েছে এ রকম ৮০৭টি বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি, ৭২৩টি বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি এবং ৬৫২টি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষানীতির আলোকে ৫ম-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রসারিত করার বাস্তবতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত-সুপারিশ প্রদানের জন্য সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করায় শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। উপবৃত্তি সংক্রান্ত ওই প্রকল্প চালু ছিল ১৯৯৩-২০০২ সাল পর্যন্ত।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ৫ মার্চ, ২০১৯ ০১:৫৬

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধে সরকার ৮ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার সংসদে উত্থাপিত চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সাংসদ মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, বছরের শুরুতে প্রতিটি বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক শিশু জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা, নিয়মিত মা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক এবং হোম ভিজিট, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
সরকারের এসব দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগের সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ৬৪ জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলায় ১৫-৪৫ বছর বয়স্ক ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৮শ শ্রেণি পর্যন্ত চালুকরণের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভালো ভৌত অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ রয়েছে এ রকম ৮০৭টি বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি, ৭২৩টি বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণি এবং ৬৫২টি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষানীতির আলোকে ৫ম-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রসারিত করার বাস্তবতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত-সুপারিশ প্রদানের জন্য সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করায় শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। উপবৃত্তি সংক্রান্ত ওই প্রকল্প চালু ছিল ১৯৯৩-২০০২ সাল পর্যন্ত।