মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:২৮
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনি দায়িত্ব পালন করছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বুধবার এমন মন্তব্য করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি এক আদেশে ২০১৩ সালে মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যথাযথ প্রতিকার দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
কিন্তু গত এক মাসের বেশি সময়েও মানবাধিকার কমিশন রুল শুনানির কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি কোন আইনজীবীও নিয়োগ দেয়নি। ওই ঘটনার পাঁচ বছরেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আদালতের বরাতে তিনি জানান, বুধবার শুনানির সময় আদালত বলেন, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার কমিশন শুধু প্রতিবেদনই দিয়ে যায়। এটি মানবাধিকার কমিশনের কাজ নয়। কমিশনের আদেশ কেউ প্রতিপালন না করলে কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আসতে পারে। কিন্তু কমিশন আজ পর্যন্ত কোন বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে আসেনি।
আদালত আরও বলেন, খাদিজাকে অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, ওই অভিযোগটি নিষ্পত্তির বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এটা আইনসম্মত নয়। রুল প্রস্তুত হওয়ার পরও মানবাধিকার কমিশন এটি শুনানির জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেনি। শুনানির কোন উদ্যোগ নেয়নি। এটা দুঃখজনক।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:২৮

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনি দায়িত্ব পালন করছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বুধবার এমন মন্তব্য করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি এক আদেশে ২০১৩ সালে মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যথাযথ প্রতিকার দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
কিন্তু গত এক মাসের বেশি সময়েও মানবাধিকার কমিশন রুল শুনানির কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি কোন আইনজীবীও নিয়োগ দেয়নি। ওই ঘটনার পাঁচ বছরেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আদালতের বরাতে তিনি জানান, বুধবার শুনানির সময় আদালত বলেন, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার কমিশন শুধু প্রতিবেদনই দিয়ে যায়। এটি মানবাধিকার কমিশনের কাজ নয়। কমিশনের আদেশ কেউ প্রতিপালন না করলে কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আসতে পারে। কিন্তু কমিশন আজ পর্যন্ত কোন বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে আসেনি।
আদালত আরও বলেন, খাদিজাকে অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, ওই অভিযোগটি নিষ্পত্তির বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এটা আইনসম্মত নয়। রুল প্রস্তুত হওয়ার পরও মানবাধিকার কমিশন এটি শুনানির জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেনি। শুনানির কোন উদ্যোগ নেয়নি। এটা দুঃখজনক।