মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার দু’জনের রায় যে কোনো দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০১৯ ১৬:৪৯
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দুই আসামি হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু (৮০) ও সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপের (৮৮) রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে।
মামলার সবশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক আদেশে এ রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে মর্মে তা অপেক্ষমাণ রাখেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪০ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস শুকুর।
তাপস কান্তি বল দেশ রূপান্তরকে জানান, এ মামলায় তিনজন আসামির মধ্যে অভিযোগ গঠনের আগেই এনায়েতুল্লাহ মঞ্জু (৭০) নামে এক আসামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘মোট চার কার্যদিবসে যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত এই মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে উল্লেখ করে তা অপেক্ষমাণ রেখেছেন।’
একাত্তরে নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং একই জেলার মদন থানার মদন গ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও বিচারকার্যক্রম শুরু হয়।
এনায়েতুল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) নামে এক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ওই বছরের ১০ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামি মঞ্জু ও ছোরাপ কারাগারে রয়েছেন। তিনজনের বাড়ি নেত্রকোনার জেলার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ মার্চ, ২০১৯ ১৬:৪৯

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দুই আসামি হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু (৮০) ও সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপের (৮৮) রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে।
মামলার সবশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক আদেশে এ রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে মর্মে তা অপেক্ষমাণ রাখেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪০ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস শুকুর।
তাপস কান্তি বল দেশ রূপান্তরকে জানান, এ মামলায় তিনজন আসামির মধ্যে অভিযোগ গঠনের আগেই এনায়েতুল্লাহ মঞ্জু (৭০) নামে এক আসামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘মোট চার কার্যদিবসে যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত এই মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণা হবে উল্লেখ করে তা অপেক্ষমাণ রেখেছেন।’
একাত্তরে নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং একই জেলার মদন থানার মদন গ্রামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও বিচারকার্যক্রম শুরু হয়।
এনায়েতুল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) নামে এক আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ওই বছরের ১০ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামি মঞ্জু ও ছোরাপ কারাগারে রয়েছেন। তিনজনের বাড়ি নেত্রকোনার জেলার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।