বঙ্গবন্ধু হত্যায় ড. কামালকে নিয়ে শেখ সেলিমের সন্দেহ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মার্চ, ২০১৯ ২২:০৬
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
ড. কামালকে একজন সুযোগসন্ধানী ও মতলববাজ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে রবিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে ড. কামালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তা কীভাবে বলা যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সময় কামাল হোসেন লন্ডনে ছিলেন। জার্মানি থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ড. কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংবাদ সম্মেলন করতে বলেছিলেন। তিনি সেটা করেননি’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার খুনি কর্নেল হুদা ও ড. কামাল হোসেন একটি অনুষ্ঠানে পানি জাতীয় কিছু খাচ্ছিলেন, এই ছবি তার মোবাইলেও আছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল তা বের করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
ড. কামালকে বিএনপির ভাড়াটে নেতা আখ্যা দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, তিনি একটা মতলববাজ লোক। বিএনপি এখন নেতৃত্বশূন্য। তারা একজন পরিত্যক্ত নেতা পেয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নাটক করছে দাবি করে তিনি বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়ার সঙ্গে একজন আসামির চিকিৎসা এক করা যাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নানা অশোভন কটূক্তি করা হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো ও অপরাধ সংঘটন করা হচ্ছে। এসব ঠেকাতে তিনি ফেসবুকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মার্চ, ২০১৯ ২২:০৬

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
ড. কামালকে একজন সুযোগসন্ধানী ও মতলববাজ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে রবিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে ড. কামালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তা কীভাবে বলা যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সময় কামাল হোসেন লন্ডনে ছিলেন। জার্মানি থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ড. কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংবাদ সম্মেলন করতে বলেছিলেন। তিনি সেটা করেননি’।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার খুনি কর্নেল হুদা ও ড. কামাল হোসেন একটি অনুষ্ঠানে পানি জাতীয় কিছু খাচ্ছিলেন, এই ছবি তার মোবাইলেও আছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত ছিল তা বের করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
ড. কামালকে বিএনপির ভাড়াটে নেতা আখ্যা দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, তিনি একটা মতলববাজ লোক। বিএনপি এখন নেতৃত্বশূন্য। তারা একজন পরিত্যক্ত নেতা পেয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নাটক করছে দাবি করে তিনি বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়ার সঙ্গে একজন আসামির চিকিৎসা এক করা যাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নানা অশোভন কটূক্তি করা হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো ও অপরাধ সংঘটন করা হচ্ছে। এসব ঠেকাতে তিনি ফেসবুকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানান।