সিংহভাগ অর্থ পাচার হয় ব্যাংকিং চ্যানেলে: দুদক চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ মার্চ, ২০১৯ ২১:৩২
দেশের সিংহভাগ অর্থ পাচার হয়ে থাকে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কারন হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার করা যায় না। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজস্ব বোর্ডের কাছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের এক মাসের তালিকা চেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা আজ পর্যন্ত এই তালিকা পাইনি। এই তালিকা পেলে প্রয়োজনে তালিকা ধরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সোমবার ‘কমিশনের কৌশলপত্র -২০১৯’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের দুর্নীতি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তারা যদি সময় মতো নিরীক্ষা ও পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব।
একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান বুলবুল এর সঞ্চালনায় ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এএফ এম আমিনুল ইসলাম, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, জিটিভির নির্বাহী সম্পাদক ইশতিয়াক রেজা।
সভায় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিগত তিন বছরে কমপক্ষে ১২০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন। বেতন বাড়ানোর সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়টি সম্পৃক্ত হতে পারে, তবে খুব বেশি সম্পৃক্ত নয় জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান দুর্নীতির মূলে রয়েছে লোভ, অভাবের কারণে এখন খুব বেশি একটা দুর্নীতি হয় না। তাই আমি রূপক অর্থেই বলেছিলাম লোভের জিহ্বা কাটতে হবে।
জাহলামের বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাহালমের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না, তবে সালেকের জায়গায় কীভাবে জাহালম আসামি হলেন, এ বিষয়ে কমিশন অভ্যন্তরীণভাবে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করছে। এই রিপোর্ট পেলেই সবকিছু জানা যাবে। আমি প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ঘটনার জন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এমনকি আমি বলেছি আমরা লজ্জিত।
বিগত তিন বছরে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি নগদ টাকা দুদকের কারণেই বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পুলিশ অনেক প্রশংসার কাজ করছে। পুলিশের সাথে কমিশনের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, তারা আমাদের সকল কাজের সহযোগিতা করছে। তবে এ কথাও ঠিক তাদের বিভিন্ন স্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত চলছে ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ মার্চ, ২০১৯ ২১:৩২

দেশের সিংহভাগ অর্থ পাচার হয়ে থাকে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কারন হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার করা যায় না। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজস্ব বোর্ডের কাছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের এক মাসের তালিকা চেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা আজ পর্যন্ত এই তালিকা পাইনি। এই তালিকা পেলে প্রয়োজনে তালিকা ধরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সোমবার ‘কমিশনের কৌশলপত্র -২০১৯’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের দুর্নীতি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তারা যদি সময় মতো নিরীক্ষা ও পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব।
একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান বুলবুল এর সঞ্চালনায় ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এএফ এম আমিনুল ইসলাম, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, জিটিভির নির্বাহী সম্পাদক ইশতিয়াক রেজা।
সভায় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিগত তিন বছরে কমপক্ষে ১২০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন। বেতন বাড়ানোর সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়টি সম্পৃক্ত হতে পারে, তবে খুব বেশি সম্পৃক্ত নয় জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান দুর্নীতির মূলে রয়েছে লোভ, অভাবের কারণে এখন খুব বেশি একটা দুর্নীতি হয় না। তাই আমি রূপক অর্থেই বলেছিলাম লোভের জিহ্বা কাটতে হবে।
জাহলামের বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাহালমের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না, তবে সালেকের জায়গায় কীভাবে জাহালম আসামি হলেন, এ বিষয়ে কমিশন অভ্যন্তরীণভাবে জেলা জজ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করছে। এই রিপোর্ট পেলেই সবকিছু জানা যাবে। আমি প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ঘটনার জন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এমনকি আমি বলেছি আমরা লজ্জিত।
বিগত তিন বছরে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি নগদ টাকা দুদকের কারণেই বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পুলিশ অনেক প্রশংসার কাজ করছে। পুলিশের সাথে কমিশনের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, তারা আমাদের সকল কাজের সহযোগিতা করছে। তবে এ কথাও ঠিক তাদের বিভিন্ন স্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত চলছে ।