জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি | ১১ মার্চ, ২০১৯ ২৩:৫৬
ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছে এদেশের জনগণ। তাছাড়া আমরা ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়ন মানুষের দোরগোড়া পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের কাজ করতে এসেছি। আমি মনে করি সৎভাবে বসবাস করলে যদি নুন ভাতও খাই তার তৃপ্তি আলাদা, অসৎভাবে বিরিয়ানি খাওয়া থেকে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব এবং প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ ভোটাররা ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। নারীরা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এটা আর কিছু না, আমরা ১০ বছর সরকারে থেকে যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের ছোঁয়াটা একেবারে গ্রাম বাংলার মানুষের ঘরে পর্যন্ত পৌঁছেছে। তারই ফলে একটা আস্থা বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এত বেশি সমর্থন দিয়েছে অনেকে বিশ্বাসই করতেই পারেনি, চিন্তাই করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দুর্নীতি, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানকে সমর্থন করেছে। ভোটের মধ্য দিয়ে এটাই বলেছে, তারা জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না, সন্ত্রাস দেখতে চায় না। মাদক দেখতে চায় না। দুর্নীতি দেখতে চায় না। এর বিরুদ্ধে তারা নৌকায় ভোট দিয়েছে তারা নৌকায় আস্থা রেখেছে। এই নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক সরকারগুলো দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছিল। তারা ১০টাকার জিনিস কিনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করত। তাদের সময় মুষ্টিমেয় কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করেছিল। যে কারণে দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছিল। মাথার থেকে যদি দুর্নীতি হয় আর সেটা যদি নিচ পর্যন্ত যায় সেটা নির্মূল করা খুব কঠিন। তবে আমরা সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কই আমাদের বিরুদ্ধে তো বিশ্বব্যাংক পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, প্রমাণ করতে পারেনি।
এখানে তো দুর্নীতি করতে আসিনি জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের কাজ করতে এসেছি। যার জন্য আমরা দুর্নীতি অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু একটা সমাজে যখন গভীরে দুর্নীতি পৌঁছে যায় সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়, কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, দুর্নীতি বন্ধ করে উন্নয়ন করা। দুর্নীতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই আজকে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। তা না হলে তো উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না। প্রযুক্তি ব্যবহার করছি আজকাল টেন্ডার বাক্স ছিনতাই এর কথা শোনা যায় না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বিশেষ প্রতিনিধি | ১১ মার্চ, ২০১৯ ২৩:৫৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছে এদেশের জনগণ। তাছাড়া আমরা ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়ন মানুষের দোরগোড়া পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের কাজ করতে এসেছি। আমি মনে করি সৎভাবে বসবাস করলে যদি নুন ভাতও খাই তার তৃপ্তি আলাদা, অসৎভাবে বিরিয়ানি খাওয়া থেকে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব এবং প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ ভোটাররা ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। নারীরা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এটা আর কিছু না, আমরা ১০ বছর সরকারে থেকে যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের ছোঁয়াটা একেবারে গ্রাম বাংলার মানুষের ঘরে পর্যন্ত পৌঁছেছে। তারই ফলে একটা আস্থা বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এত বেশি সমর্থন দিয়েছে অনেকে বিশ্বাসই করতেই পারেনি, চিন্তাই করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দুর্নীতি, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানকে সমর্থন করেছে। ভোটের মধ্য দিয়ে এটাই বলেছে, তারা জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না, সন্ত্রাস দেখতে চায় না। মাদক দেখতে চায় না। দুর্নীতি দেখতে চায় না। এর বিরুদ্ধে তারা নৌকায় ভোট দিয়েছে তারা নৌকায় আস্থা রেখেছে। এই নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক সরকারগুলো দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছিল। তারা ১০টাকার জিনিস কিনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করত। তাদের সময় মুষ্টিমেয় কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করেছিল। যে কারণে দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছিল। মাথার থেকে যদি দুর্নীতি হয় আর সেটা যদি নিচ পর্যন্ত যায় সেটা নির্মূল করা খুব কঠিন। তবে আমরা সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কই আমাদের বিরুদ্ধে তো বিশ্বব্যাংক পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, প্রমাণ করতে পারেনি।
এখানে তো দুর্নীতি করতে আসিনি জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের কাজ করতে এসেছি। যার জন্য আমরা দুর্নীতি অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু একটা সমাজে যখন গভীরে দুর্নীতি পৌঁছে যায় সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়, কঠিন হয়ে পড়ে।
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, দুর্নীতি বন্ধ করে উন্নয়ন করা। দুর্নীতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই আজকে আমাদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। তা না হলে তো উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না। প্রযুক্তি ব্যবহার করছি আজকাল টেন্ডার বাক্স ছিনতাই এর কথা শোনা যায় না।