পড়াশোনার জন্য শিশুদের অতিরিক্ত চাপ দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০২:০৮
ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করে তোলার মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মেধা ও মননের যথাযথ বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমি এটুকুই বলব, কোনোমতেই যেন কোমলমতি শিশুদের অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া হয়। তাহলেই দেখবেন তারা ভেতরে একটা আলাদা শক্তি পাবে। আর তাদের শিক্ষার ভীতটা শক্তভাবে তৈরি হবে।’
কোমলমতিদের লেখাপড়ার কঠোর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করাকে ‘এক ধরনের মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, শিশুরা প্রথমে স্কুলে যাবে এবং হাসি খেলার মধ্য দিয়েই লেখাপড়া করবে।
শিশুদের পাঠদান সম্পর্কে নিজস্ব অভিব্যক্তি সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই ৭ বছরের আগে শিশুদের স্কুলে পাঠায় না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা স্কুলে যায়। কিন্তু তারা যেন হাসতে খেলতে মজা করতে করতে পড়াশোনাটাকে নিজের মত করে করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা উচিত।
সেখানে অনবরত ‘পড়’, ‘পড়’, ‘পড়’ বলাটা বা ধমক দেওয়াটা বা আরো বেশি চাপ দেওয়া হলে শিক্ষার ওপর তাদের আগ্রহটা কমে যাবে, একটা ভীতির সৃষ্টি হবে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রতি সেই ভীতিটা যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমি আমাদের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় আমরা দেখি প্রতিযোগিতা শিশুদের মধ্যে না হলেও বাবা-মায়ের মধ্যে একটু বেশি হয়ে যায়। এটাকেও আমি একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থীর সমান মেধা থাকবে না এবং সকলেই সবকিছু একরকম করায়াত্ত করতে পারবে না। তবে, যার যেটি সহজাতভাবে আসবে তাঁকে সেটি গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া, যেন শিক্ষাটাকে আপন করে নিয়ে সে শিখতে পারে সে সুযোগ দিতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন।
খবর: বাসস
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ মার্চ, ২০১৯ ০২:০৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করে তোলার মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মেধা ও মননের যথাযথ বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি সম্পৃক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমি এটুকুই বলব, কোনোমতেই যেন কোমলমতি শিশুদের অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া হয়। তাহলেই দেখবেন তারা ভেতরে একটা আলাদা শক্তি পাবে। আর তাদের শিক্ষার ভীতটা শক্তভাবে তৈরি হবে।’
কোমলমতিদের লেখাপড়ার কঠোর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করাকে ‘এক ধরনের মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, শিশুরা প্রথমে স্কুলে যাবে এবং হাসি খেলার মধ্য দিয়েই লেখাপড়া করবে।
শিশুদের পাঠদান সম্পর্কে নিজস্ব অভিব্যক্তি সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই ৭ বছরের আগে শিশুদের স্কুলে পাঠায় না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা স্কুলে যায়। কিন্তু তারা যেন হাসতে খেলতে মজা করতে করতে পড়াশোনাটাকে নিজের মত করে করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা উচিত।
সেখানে অনবরত ‘পড়’, ‘পড়’, ‘পড়’ বলাটা বা ধমক দেওয়াটা বা আরো বেশি চাপ দেওয়া হলে শিক্ষার ওপর তাদের আগ্রহটা কমে যাবে, একটা ভীতির সৃষ্টি হবে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রতি সেই ভীতিটা যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমি আমাদের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় আমরা দেখি প্রতিযোগিতা শিশুদের মধ্যে না হলেও বাবা-মায়ের মধ্যে একটু বেশি হয়ে যায়। এটাকেও আমি একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থীর সমান মেধা থাকবে না এবং সকলেই সবকিছু একরকম করায়াত্ত করতে পারবে না। তবে, যার যেটি সহজাতভাবে আসবে তাঁকে সেটি গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া, যেন শিক্ষাটাকে আপন করে নিয়ে সে শিখতে পারে সে সুযোগ দিতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন।
খবর: বাসস