বেঁচে যাওয়া ২ বাংলাদেশি জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মার্চ, ২০১৯ ১৯:০৮
হামলায় স্বজন হারানোদের আহাজারি
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এর তিনজন বাংলাদেশি। এ ছাড়া আরো কয়েকজন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়ছেন।
এর বাইরে বেঁচে যাওয়া দুই বাংলাদেশি বিবিসি বাংলাকে জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের অধিবাসী আফসানা আক্তার রিতু হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই ছিলেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফসানা আক্তার রিতু সেই ভয়াবহ হামলার বিবরণ দেন। ঘটনার সময় তারা তিনজন বাংলাদেশী নারী একসঙ্গে ছিলেন।
‘আমরা মসজিদের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে একটা শব্দ পাই। আমরা শব্দ শুনে দৌড়াদৌড়ি করে বাইরে আসি।‘
‘যারা গুলি করছিল, ওরা প্রথম মহিলাদের রুমে আসেনি, ওরা প্রথম গিয়েছিল পুরুষদের রুমে। আমরা তিনজন বাংলাদেশী এক সঙ্গে ছিলাম। তিনজনই একসঙ্গে দৌড় দেই।‘
‘আমাদের বাসা একদম মসজিদের পাশে। বাসায় আসতে এক মিনিট লাগে। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে বাসার দিকে আসি। কিন্তু বাসার চাবি, জুতা এইগুলা মসজিদে রেখে আসছি। জান বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসি’।
অন্যদিকে হামলার সময় বাংলাদেশী বংশদ্ভূত মোহন ইব্রাহীম মসজিদে ছিলেন এবং তিনি পালাতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, ‘মসজিদে অনেকেই ছিলেন যাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত দেখা হতো, তাদের অনেকেই আর নেই। এই বিষয়টি একেবারে মেনে নিতে পারছি না’।
ছাত্র হিসেবে পাঁচ বছর আগে নিউজিল্যান্ডে যান মোহন ইব্রাহীম। তিনি বলেন, ‘এমন হতে পারে আমি কখনো চিন্তাও করিনি। আমি এখানে পাঁচ বছর ধরে থাকি, তাই আমি জানি যে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর একটি’।
‘আমি আজ যা দেখেছি, কখনো চিন্তাও করিনি সেরকম কিছু আমার কখনো দেখতে হবে’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মার্চ, ২০১৯ ১৯:০৮

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এর তিনজন বাংলাদেশি। এ ছাড়া আরো কয়েকজন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়ছেন।
এর বাইরে বেঁচে যাওয়া দুই বাংলাদেশি বিবিসি বাংলাকে জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের অধিবাসী আফসানা আক্তার রিতু হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই ছিলেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফসানা আক্তার রিতু সেই ভয়াবহ হামলার বিবরণ দেন। ঘটনার সময় তারা তিনজন বাংলাদেশী নারী একসঙ্গে ছিলেন।
‘আমরা মসজিদের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে একটা শব্দ পাই। আমরা শব্দ শুনে দৌড়াদৌড়ি করে বাইরে আসি।‘
‘যারা গুলি করছিল, ওরা প্রথম মহিলাদের রুমে আসেনি, ওরা প্রথম গিয়েছিল পুরুষদের রুমে। আমরা তিনজন বাংলাদেশী এক সঙ্গে ছিলাম। তিনজনই একসঙ্গে দৌড় দেই।‘
‘আমাদের বাসা একদম মসজিদের পাশে। বাসায় আসতে এক মিনিট লাগে। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে বাসার দিকে আসি। কিন্তু বাসার চাবি, জুতা এইগুলা মসজিদে রেখে আসছি। জান বাঁচানোর জন্য পালিয়ে আসি’।
অন্যদিকে হামলার সময় বাংলাদেশী বংশদ্ভূত মোহন ইব্রাহীম মসজিদে ছিলেন এবং তিনি পালাতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, ‘মসজিদে অনেকেই ছিলেন যাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত দেখা হতো, তাদের অনেকেই আর নেই। এই বিষয়টি একেবারে মেনে নিতে পারছি না’।
ছাত্র হিসেবে পাঁচ বছর আগে নিউজিল্যান্ডে যান মোহন ইব্রাহীম। তিনি বলেন, ‘এমন হতে পারে আমি কখনো চিন্তাও করিনি। আমি এখানে পাঁচ বছর ধরে থাকি, তাই আমি জানি যে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর একটি’।
‘আমি আজ যা দেখেছি, কখনো চিন্তাও করিনি সেরকম কিছু আমার কখনো দেখতে হবে’।